নয়াদিল্লি:  প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির জীবনাবসান। বেলা ১২টা নাগাদ দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত এক মাস ধরে তাঁর অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক। কয়েকদিন আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।

৯ বছর আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে পাশে ছিলেন স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি এবং ছেলে মিছিল। ১৯৭১ সালে দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। ১৯৮৪ সালে হাওড়া থেকে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরের বছর প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান বাংলার এই কংগ্রেস নেতা। ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। রাজনীতির পাশাপাশি ২০ বছর ধরে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদেও ছিলেন তিনি।

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভপতি সনিয়া গাঁধী, সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে নস্ট্যালজিক সুব্রতর প্রতিক্রিয়া ছাত্র আন্দোলনের টালমাটাল সময়ে তাঁদের দু’জনের একসঙ্গে পথ চলা শুরু। প্রিয়রঞ্জনের মৃত্যু, স্বজন হারানোর যন্ত্রণার মতো, মন্তব্য সোমেন মিত্রের। তাঁর কাছ থেকেই শেখা রাজনৈতিক সৌজন্য, জানালেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।