নয়াদিল্লি: দিল্লি পুরভোটের এক সপ্তাহ বাকি থাকতেই কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিয়ে বিজেপিতে চলে গেলেন দলের প্রাক্তন বিধায়ক অরবিন্দর সিংহ লাভলি ও দিল্লি যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিত মালিক। লাভলি একসময় দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও ছিলেন।
শীলা দীক্ষিত মন্ত্রিসভায় শিক্ষা, পর্যটন, নগরোন্নয়ন ও পরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি দপ্তর ছিল লাভলির হাতে। ১৯৯৮ সালে প্রথম তিনি কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হন গাঁধী নগর কেন্দ্র থেকে। তারপর থেকে কোনও নির্বাচনে হারেননি। যদিও ২০১৫-র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, ২০১৫-র ভোটে দলের ভরাডুবির পর থেকে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না লাভলির। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলেন, আর কংগ্রেসে থাকবেন কিনা। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে লাভলি কংগ্রেস নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ওদের হাতেই দলের 'মৃত্যু হয়েছে'। দল শেষ হয়ে গিয়েছে। নেতারা পুরভোটের টিকিট বিক্রি করেছেন বলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এ কে ওয়ালিয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে লাভলি বলেন, ওনার কথায় গুরুত্ব দেয়নি কেউ। কিন্তু গত ২ বছরে একাধিক নেতা দলের ভিতরে দম বন্ধ হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন।
অমিত মালিকও পুরসভায় দলের টিকিট বন্টনে খুশি ছিলেন না। গত মার্চে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন।
এদিকে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ভুল সিস্টেমের জন্যই প্রথম সারির নেতারা দল ছাড়ছেন বলে জানিয়ে বর্তমান প্রদেশ সভাপতি অজয় মাকেনকে আক্রমণ করেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। তাঁর বক্তব্য, প্রদেশ সভাপতিই যদি না বোঝেন, দলের নেতা, কর্মীদের দুঃখ, অসন্তোষ কোথায়, তাহলে ওই পদে থেকে লাভ কী?