নয়াদিল্লি: রাফালে চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বক্তব্য খণ্ডন করে ফ্রান্স জানিয়ে দিল, আইনত এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে দু’দেশকেই। ২০০৮ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তিতে তেমনই বলা আছে। যদিও রাহুল নিজের বক্তব্যে অনড়। তিনি বলেছেন, ‘ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁকর আমাকে বলেছিলেন, গোপনীয়তা বজায় রাখার কোনও চুক্তি নেই। আমার সঙ্গে আনন্দ শর্মা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সেখানে ছিলেন। এখন ফ্রান্স চাইলে সে কথা অস্বীকার করতেই পারে। তবে আমি নিজের বক্তব্যে অনড়।’


আজ লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় রাফালে চুক্তি নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন প্রথমে বলেছিলেন, তিনি রাফালে যুদ্ধবিমানের দাম প্রকাশ করবেন। কিন্তু পরে তিনি বক্তব্য বদলে করে বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে এ বিষয়ে গোপনীয়তার চুক্তি আছে। আমি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি নিজে আমাকে বলেন, সেরকম কোনও চুক্তি নেই।’

রাহুলের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হইচই শুরু হওয়ার পর ফ্রান্সের ইউরোপ ও বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ভারতীয় সংসদে রাহুল গাঁধীর বক্তব্য শুনেছি। ফ্রান্স ও ভারত ২০০৮-এ নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ভারত ও ফ্রান্সের নিরাপত্তা ও প্রতিপক্ষা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন গোপন বিষয়গুলি প্রকাশ্যে আনা হবে না। স্বাভাবিকভাবেই ২০১৬-র ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান ও অস্ত্রের বিষয়ে যে চুক্তি হয়, সেক্ষেত্রেও গোপনীয়তার বিষয়টি প্রযোজ্য। এ বছরের ৯ মার্চ একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দেন, ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা সব তথ্য প্রকাশ করতে পারব না।’ কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগ করছে, রাফালে চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণেই এই যুদ্ধবিমানের দাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।