নয়াদিল্লি: রামজাস কলেজে গতকালের ঘটনার ব্যাপারে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর রিপোর্ট তলব করার কথা জানিয়েছেন। যদিও তিনি একইসঙ্গে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ফলে সেখানে সরকারি হস্তক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না বলেও জানিয়েছেন। গতকাল রামজাস কলেজে আরএসএস অনুমোদিত ছা্ত্র সংগঠন এবিভিপি ও বাম ছাত্রগোষ্ঠী আইসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয় জেএনইউয়ের দুই পড়ুয়া উমর খালিদ, শেহলা রশিদকে সেমিনারে বক্তা হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েও ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনায়। এবিভিপি-র দাবি ছিল, উমর খালিদ দেশদ্রোহিতা মামলায় অভিযুক্ত, ফলে তাকে ডাকা চলবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মেনে নেওয়ায় প্রতিবাদে রাস্তায় নামে আইসা ও সেমিনারের আয়োজক শিক্ষকরা।


এই সংঘাতের মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়ে দিয়েছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে, কলেজ ক্যাম্পাসগুলি দেশ-বিরোধী কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হবে। তিনি বলেছেন, কথা বলার অধিকারের ধুয়ো তুলে কোনও ভারত-বিরোধী স্লোগান বরদাস্ত করা হবে না।
আজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখায় আইসা সমর্থকরা। বিক্ষোভ চলে দিল্ল পুলিশের সদর কার্যালয়েও। তাদের দাবি, গতকালের ঘটনায় জড়িত এবিভিপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। খোদ উমর খালিদ পুলিশ দফতরের বাইরে বিক্ষোভে যোগ দেন। 'এবিভিপি সে আজাদি' স্লোগান দেন তিনি।