ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রে জিয়েগলার ট্যুইট করেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, এটা ফেক নিউজ।
আমেরিকার ওয়েবসাইটের রিপোর্ট প্রকাশের পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। শোনা যাচ্ছে, মার্কিন ওয়েবসাইটের রিপোর্ট দেখে ভারত সরকার ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়ে দেয়, কোনও পাক পাইলটকে ট্রেনিং দেওয়া হয়নি।
এমন সময়ে ওই রিপোর্ট বেরয় যখন ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের বিরোধ তীব্র রূপ নিয়েছে। ৫৮০০০ কোটি টাকা মূল্যে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল জেট বিমান কিনছে ভারত। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি এই ডিলে ব্যাপক অনিয়ম, দু্র্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। পাল্টা মোদি সরকার সেই অভিযোগ খারিজ করে বিরোধীদের দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদাসীনতার অভিযোগে বিঁধেছে।
২০১৫-য় কাতার ফরাসি সংস্থা দাসোঁর সঙ্গে ২৪টি রাফাল জেট বিমান কেনার জন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করে, পরে আরও ১২টি রাফাল চায়।
কাতারকে প্রথম রাফাল বিমানটি সরবরাহ করা হয় কয়েক মাস আগে। পাকিস্তান, কাতারের মধ্যে জোরদার রাজনৈতিক, সামরিক বোঝাপড়া আছে।
গত বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের এই যুক্তি নাকচ করে দেয় যে, রাফাল ডিল নিয়ে মিডিয়ার জোগাড় করা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-নথিকে প্রমাণ হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। শীর্ষ আদালত জানায়, এই ডিলে সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া গত ১৪ ডিসেম্বরের রায় পুনর্বিবেচনার সময় তারা মিডিয়ায় বেরনো তথ্য, নথি পরীক্ষা করবে।