নাগপুর: সাতের দশকে দেশে জরুরি অবস্থার জন্য বিজেপি যে ইন্দিরা গাঁধীকে কাঠগড়ায় তোলে, সেই দলেরই নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরী এখানে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় সরব হলেন। ইন্দিরাকে দলে নিজের ক্ষমতা প্রমাণের জন্য সংরক্ষণের দরকার হয়নি, তিনি কংগ্রেসের পুরুষ নেতাদের ছাপিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিমত জানিয়েছেন গডকরী। বলেছেন, দলে পোড় খাওয়া পুরুষ নেতাদের মধ্যেই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ইন্দিরা। তা কি সংরক্ষণের জোরে? তিন বিজেপি নেত্রী যথাক্রমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে ও লোকসভা স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও সংরক্ষণের সুবিধা ছাড়াই সফল বলেও দাবি করেন গডকরী।


যদিও একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি মহিলা সংরক্ষণের বিরোধী নই। মহিলাদের সংরক্ষণ পাওয়া উচিত। তবে তিনি জাতপাত ও ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতির বিরোধী বলে জানিয়ে গডকরী বলেন, একজন ব্যক্তি জ্ঞান, বিদ্যার জোরেই এগতে পারেন, ধর্ম, ভাষা, জাত, বর্ণের জোরে নয়। আমরা কি সাইবাবা, গজানন মহারাজ বা সন্ত তুকদোজি মহারাজের ধর্ম জানতে চাই? ছত্রপতি শিবাজি, বাবাসাহেব অম্বেডকর বা জ্যোতিবা ফুলের জাত নিয়ে কখনও কিছু জানতে চাই আমরা?