নয়াদিল্লি:  দুই কিশোরকে মারধর করে পরস্পরকে যৌননিগ্রহ করতে বাধ্য করার ঘটনায় দিল্লিতে গ্রেফতার দুষ্কৃতী দলের দুই জন। এই ঘটনায় ওই দুই কিশোর খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকেই তারা অম্বেডকর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
পুলিশ জানিয়েছেন, ১০ দুষ্কৃতীর একটি চক্র ওই দুজনের ওপর চরম অত্যাচার চালায় এবং তাদের একে অপরের যৌন নিগ্রহ করতে বাধ্য করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও করে দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির অস্বাভাবিক যৌনতা ও যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো)-র আওতায় ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গত শনিবার রাতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের আধিকারিক দীপেন্দ্র পাঠক এ কথা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ অক্টোবরের ওই ঘটনার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নিগৃহীতদের অভিভাবকরা ওই ভিডিও ফুটেজ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন।
নিগৃহীত দুই কিশোরের বয়স ১৩ ও ১৫। মেট্রো বিহার এলাকায় তাদের বাড়ি। তারা পরস্পরের বন্ধু।
অন্যতম অভিযুক্ত কানওয়ার সিংহর সন্দেহ হয়, তাঁর বাড়িতে চুরির ঘটনায় ওই দুই কিশোর জড়িত। এজন্য কানওয়ারের লোকজন তাদের ডেকে পাঠায় এবং আটকে রাখে।
চুরির কথা অস্বীকার করলে দুজনকে চামড়ার বেল্ট দিয়ে মারা হয়। এরপর কানওয়ার তাঁর বন্ধুদেরও ডেকে পাঠান। দুজনকে জামাকাপড় খুলতে বাধ্য হয়। তাদের ওপর প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে অত্যাচার চালানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।  দুই কিশোরকে একে অপরের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও তোলা হয়। পুলিশকে জানালে ওই ক্লিপ ইন্টারনেটে তুলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
অভিযুক্তরা দুই কিশোরের গোপনাঙ্গে পেট্রোল ও লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয় বলেও অভিযোগ।