রামপুর: পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েও যে এমন চরম অসম্মান পাবেন, ভাবতে পারেননি এক গণধর্ষিতা। ৩৭ বছরের মহিলার গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত করে দেখার আগে তাঁকে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার (আইও)!


গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই মহিলা এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে রামপুর শহরে ফিরছিলেন। রাস্তায় দুজন তাঁকে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এগিয়ে আসে। ওদের একজন আবার তাঁর পরিচিত। ওরা তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দেয়। কিন্তু তাঁর বাড়িতে আর কেউ নেই, তিনি একা, বুঝতে পেরে বন্দুক ঠেকিয়ে মহিলা ধর্ষণ করে দুজন।

ওই মহিলার দাবি, তিনি রামপুরের গঞ্জ থানায় ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারি চাইতে গেলে তাঁকে এসআই জয় প্রকাশ সিংহ আগে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে বলে শর্ত দেন। তিনি থানায় গেলেই তাঁকে একই কথা বলতেন তিনি। এমনকী তাঁর মোবাইলে ফোন করে তাঁকে একা তার ঘরে দেখা করতেও বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় মামলার ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেন ওই এসআই।

অসহায় মহিলা ফের তাঁর কাছে যান, তবে এবার লুকিয়ে  তাঁর সঙ্গে পুরো কথোপকথন ফোনে রেকর্ড করে রাখেন। প্রমাণ সমেত তিনি দেখা করেন এসপি-র সঙ্গে। অভিযোগ শুনে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন এসপি। গঞ্জ স্টেশনের অফিসারকে ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

কিন্তু এত কিছুর পরও পুলিশ প্রথমে এফআইআর দায়ের করতে চায়নি। মহিলা স্থানীয় আদালতে গেলে তাদের নির্দেশে মামলা রুজু হয়।  শেষ পর্যন্ত  ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ), ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় অভিযুক্ত করা হয় ৫৫ বছর বয়সি আমির আহমেদ, ৪৫ বছরের সাত্তার আহমেদকে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান পেশ করেন ধর্ষিতাও।