নয়াদিল্লি: দিল্লির গার্গী কলেজে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির প্রসঙ্গ উঠল সংসদেও। লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জানতে চান, এ ব্যাপারে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জবাবে বলেন, বাইরের লোকজন কলেজে ঢুকে পড়েছিল। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

রাজ্যসভায় আম আদমি পার্টি সাংসদ সঞ্জয় সিংহ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য নোটিশ দিয়েছেন। সঞ্জয় গার্গী কলেজের ঘটনায় সরাসরি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকেও নিশানা করেছেন তিনি। নির্দল সাংসদ নবনীত রানা গার্গী কলেজে ছাত্রীদের নিগ্রহের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এদিকে, নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন গার্গী কলেজের ছাত্রীরা। সেখানে পৌঁছন দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল। জাতীয় মহিলা কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে কলেজে একটি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে এবং কলেজে একটি দলও পাঠিয়েছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা বলেছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি অভিযোগ দায়ের না করে, তাহলে তাঁরাই পুলিশের দ্বারস্থ হবেন।
উল্লেখ্য, গত ৪-৬ ফেব্রুয়ারি গার্গী কলেজে ছিল বার্ষিক উত্সব। উত্সবের শেষদিন গত ৬ ফেব্রুয়ারি বলিউডের গায়ক জুবিন নটিয়াল এসেছিলেন। উত্সবে প্রবেশের জন্য পাস দেওয়া হয়েছিল। সন্ধে সাড়ে ছয়টা নাগাদ মত্ত অবস্থায় একদল লোক জোর করে ভেতরে ঢোকে। অভিযোগ, অনুষ্ঠান চলাকালে একদল ভেতরে ঢোকে, যারা ছাত্র নয়। তারা ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ ও শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
১৯৬৭-তে প্রতিষ্ঠিত গার্গী কলেজ ন্যাশনাল এসেসমেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন (ন্যাক)-এর মূল্যায়নে গ্রেড এ-তে রয়েছে। এটি মহিলা কলেজ। দিল্লি ইউনিভার্সিটির সাউথ ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন এই কলেজে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় চার হাজার।