নয়াদিল্লি: তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় রিভিউ করে দেখার আবেদন জানানো হোক। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে চিঠি লিখে প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যয়মন্ত্রী তাওয়ারচাঁদ গেহলতের। এ ব্যাপারে আইনি মতামত চেয়ে তিনি প্রসাদকে চিঠিতে লিখেছেন, মনে হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তফসিলি জাতি ও উপজাতি অত্যাচার রোধ আইনকে অকেজো করে দিতে পারে, দলিত ও আদিবাসীদের ন্যায়বিচার প্রদানের প্রক্রিয়ায় খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। অতএব ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন পেশ করা সঠিক কাজ হবে বলে আমার মত।
জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন ও উপজাতি কমিশনও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ খতিয়ে দেখার কথা বলেছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের আগে ওই আইনের যে চেহারা ছিল, তা ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনে অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের কঠোর ধারা শিথিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে এই আইনের কঠোর ধারার নির্বিচারে অপব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। তাই কোনও সরকারি অফিসারকে গ্রেফতারের আগে অনুমতি নিতে হবে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের। আর অ-সরকারি কাউকে গ্রেফতার করা যাবে এসএসপির সম্মতি পাওয়া গেলেই। তাছাড়ার গ্রেফতারির যে কারণগুলি নথিভুক্ত করা হবে, তাও অভিযুক্তকে বাড়তি কিছুদিন আটকে রাখতে হলে আগে খতিয়ে দেখতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটকে।
ন্যায়বিচার মন্ত্রকের জনৈক শীর্ষকর্তার মতে, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্থা, হিংসার মতো অত্যাচার বেশি হয় তফসিলি জাতি, উপজাতিভুক্তদের ওপরই। এরা বেশিরভাগই এতই গরিব যে, পুলিশের কাছে প্রমাণ সহ নিজেদের অভিযোগ পেশ করে ন্যায়বিচার চাওয়াই কঠিন হয়ে পড়বে তাদের পক্ষে। তাছাড়া তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে ফেলাও হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এ ধরনের অত্যাচারের শিকার লোকজনের সুবিচার পেতে দেরি হবে।