মনিগাম: আরও জঙ্গি যাতে আত্মসমর্পণ করে তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মীদের বললেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। সেই সঙ্গে জঙ্গিদের পরিবারের ওপর কোনও ধরনের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


মেহবুবা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করানোর জন্য পুলিশ কর্মীদের উত্সাহিত করতে পুরস্কারের অর্থ দ্বিগুণ করার কথাও ঘোষণা করেছেন। যাঁরা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করায় তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুলিশ প্রশিক্ষণ স্কুলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুফতি বলেছেন, ‘চার, আট বা ৫০,১০০ জন জঙ্গিকে মেরে জঙ্গিপনার অবসান ঘটানো সম্ভব নয়। এজন্য মানুষকে পাশে পেতে হবে, তাঁদের হৃদয় জিতে নিতে হবে। তিনি বলেছেন, গুলি বিনিয়ের মধ্যেই হোক বা তার আগে যদি কোনও জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের জন্য রাজি করতে পারেন, তাহলে তাকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য দ্বিগুণ পুরস্কার দেব’।

মেহবুবা বলেছেন, ‘আমাদের এই চেষ্টা করতে হবে। কারণ জঙ্গিদের মেরে ফেলা সহজ, কিন্তু জঙ্গি কার্যকলাপ নির্মূল করা সহজ নয়’।

মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে জঙ্গিদের থেকে আলাদা মনোভাব গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন এবং ‘ইঁটের বদলে পাটকেল’ নীতি থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উল্লেখ করেছেন। ওই খবরগুলিতে দাবি করা  হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী কয়েকজন জঙ্গির বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে গত ১৭-১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন। ওই দিন মেহবুবার দল পিডিপি-র এক কর্মীকে খুন করে তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় জঙ্গিরা।

মেহবুবা বলেছেন, জঙ্গিরা এ ধরনের কাজ করলেও পুলিশের এ ধরনের কাজ করা উচিত নয়। পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের কাজের তফাত্ থাকা উচিত।

তিনি বলেছেন, জঙ্গিরা লোকজন, পুলিশ কর্মীদের খুন করে এবং তারপর তাদের বাড়িতে ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের কাজ করা উচিত নয়। কারণ, তারা আইনের রক্ষক।

রাজ্যে শান্তি ফেরাতে পুলিশকে গঠনমূলক ভূমিকা গ্রহণ করতে বলেছেন।

এর পাশাপাশি, রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক সেনা, আধা সেনা জওয়ান ও পুলিশ কর্মীর মৃত্যু প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন।

পুলিশ যেভাবে ধৈর্য্য সহকারে কাজ করছেন তারও প্রশংসা করেন মেহবুবা।