ট্যুইটেই দেওধর উল্লেখ করেছেন, ২০০৫ সালের ৪ জানুয়ারি সদ্যপ্রাক্তন হওয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কোয়ার্টারের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক মহিলার কঙ্কাল বেরিয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু বিষয়টি তখন 'উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল'। সেই কারণেই তিনি নতুন মন্ত্রীদের আবাসের সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করানোর কথা বলেছেন।
ত্রিপুরা সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস অবশ্য কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি ইচ্ছা করে চেপে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, মানিক সরকারই তদন্তের নির্দেশ দেন।
ভোটে জেতার পর ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে সিপিএমের পার্টি অফিস তছনছ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষাপটেই দেওধরের ট্যুইটে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ক্ষমতায় আসার পর ২০০৫ সালের ঘটনার ফাইল নতুন করে খুলবে বিজেপি? কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে শুরু হবে তদন্ত? নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অবশ্য দাবি, তাঁরা কোনওভাবেই প্রতিহিংসার রাজনীতির পথে হাঁটবেন না।
প্রসঙ্গত, দেওধর ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পরই এবিপি আনন্দকে সাক্ষাত্কারে দাবি করেন, ২৫ বছরের শাসনে বিরোধী কংগ্রেস, বিজেপি কর্মীদের ওপর নির্মম দমনপীড়ন চালিয়েছে সিপিএম ক্যাডাররা।
দেওধর ২০১৪ -য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী সংসদীয় কেন্দ্রের প্রচার সামলেছেন। সেই পর্ব চুকে যাওয়ার পরই তাঁকে ত্রিপুরায় পাঠানো হয় ২০১৮-য় বিধানসভা ভোট মাথায় রেখে বিজেপির হয়ে জমি তৈরির কাজে হাত দিতে।