নয়াদিল্লি: তুতো বোনের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কারণে দিল্লিতে খুন হলেন এক যুবক। অভিযোগ, আত্মীয়রাই ছুরি মেরে খুন করেছে তাঁকে। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে আবার তথাকথিত নিম্ন জাতের এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের অপরাধে এক কিশোরীকে খুন করেছে তার বাবা, মা ও দাদা।


১৫ বছরের মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয় ১ তারিখ, দিল্লি থেকে ৮০ কিলোমিটারের মত দূরে, গাজিয়াবাদের ফরিদনগর গ্রামে। আখের খেতে পাওয়া যায় তার দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ৮ ভাইবোনের মধ্যে এই মেয়েটিই সবথেকে ছোট, প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি না হওয়ায় গলা টিপে খুন করা হয়েছে তাকে।

মেয়েটির দাদা স্বীকার করেছে খুনের কথা। তার বক্তব্য, বোনের কাজ পরিবারের অসম্মানের কারণ হয়ে উঠেছিল। ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার জন্য তাকে বহুবার বোঝানো হয় কিন্তু রাজি হয়নি সে। অভিযোগ, ১ জানুয়ারি ভোরে বাবা, মায়ের সঙ্গে বোনের ঘরে যায় সে। হাত পা চেপে ধরে গলায় দড়ি বেঁধে শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে খুন করা হয়।

কিন্তু খুনের পর মনবেদনায় ভোগা ছেলেটি পরদিনই এক বন্ধুকে জানায় সব কথা। খবর যায় পুলিশে। ৩ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য লোক এসে মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বোঝাতে তার মা তার সালোয়ার টেনে নামিয়ে দেয়।

দিল্লিতেও একইভাবে সম্মানরক্ষার্থে ৩০ বছরের এক যুবককে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে পালানোর কারণে ২৩ বছরের এক তরুণীর মামা ও ভাই খুন করেছে দীনেশ নামের যুবকটিকে। আহত ওই তরুণীও।

অভিযুক্তরা জানিয়েছে, দীনেশের স্ত্রী, সন্তান রয়েছে, তারপরেও আত্মীয় ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিল সে। মহিলারও বিয়ে ঠিক হয় আর একজনের সঙ্গে। কিন্তু সম্পর্ক ছেড়ে বার হচ্ছিলেন না তাঁরা। দুই পরিবারের প্রচণ্ড আপত্তি সত্ত্বেও দিনচারেক আগে দীনেশের সঙ্গে মহিলা ঘর ছাড়েন। ধরে ফেলে তাঁদের দুজনকেই ছুরি মারে আত্মীয়রা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দীনেশকে মৃত বলে ঘোষণা কররা  হয়, তবে তরুণী বিপন্মুক্ত।