নয়াদিল্লি: অভিনেত্রী সানি লিওন সম্প্রতি যে শিশুকন্যাটিকে দত্তক নিয়েছেন, তাকে ১১ দম্পতি নিতে রাজি হননি। এমনই জানিয়েছ দত্তক সংস্থা কারা। এই সংস্থার সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল দীপক কুমার বলেছেন, ‘মেয়েটির গায়ের রঙ, বাবা-মার পরিচয় বা স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনও কথা জানতে না চেয়েই সানি লিওন শিশুটিকে দত্তক নিয়েছেন। তাঁরা অন্য দম্পতিদের মতোই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কোনওরকম নিয়ম লঙ্ঘন করেননি। তাঁদের এই মানসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর কারা সংস্থার ওয়েব পোর্টালে একটি শিশুকে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেন সানি। এ বছরের ২১ জুন তাঁকে একটি শিশুর কথা জানানো হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্মতি জানানোর নিয়ম রয়েছে। তবে সানি পরের দিনই শিশুটিকে দত্তক নিতে রাজি বলে জানিয়ে দেন। পরে মহারাষ্ট্রের লাতুর থেকে শিশুটিকে নেন সানি ও তাঁর স্বামী ড্যানিয়ল ওয়েবার। তাঁরা এখন আদালত থেকে শিশুটির আইনি অধিকার পাওয়ার অপেক্ষায়।

সানি অনাবাসী ভারতীয় নাগরিক। ফলে তাঁর পক্ষে দত্তক নেওয়া শিশুটির আইনি অধিকার পাওয়া শ্রমসাধ্য বিষয়। নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের ক্ষেত্রে শিশুটিকে প্রথমে কোনও ভারতীয় দম্পতি দত্তক নিতে রাজি কি না, সেটা দেখা হবে। দু মাসের মধ্যে কোনও ভারতীয় দম্পতি শিশুটিকে দত্তক না নিলে তখন অনাবাসী ভারতীয় দম্পতিকে শিশুটির অধিকার দেওয়া হবে।

দীপক বলেছেন, বিদেশিরা যে শিশুদের দত্তক নেন, তাদের ৬০ শতাংশই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং ৯০ শতাংশের বয়স দু বছরের বেশি। দেশে এই শিশুদের গ্রহণযোগ্যতা কম বলেই বিদেশিরা তাঁদের দত্তক নেন। দত্তক নেওয়ার পদ্ধতিগত জটিলতা দূর করার জন্য এ বছরের মে মাসে নিয়মে বদল আনা হয়েছে। একসঙ্গে তিনটির বদলে একটি শিশুকেই দত্তক নিতে চাওয়া দম্পতিদের দেখানো হচ্ছে। এর ফলে দত্তক নেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। শিশুদের যাতে কম সময় অনাথ আশ্রমে কাটাতে হয়, সেটা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য।