সিমলা: এক আধবার নয়, ৩২বার সাপের ছোবল। তাও মাত্র ৩ বছরে। কিন্তু হিমাচলপ্রদেশের ১৮ বছরের মনীষাকে কাবু করতে পারেনি কোনও সাপ। সাপকে তিনি ভয় পান না একটুও, বরং সাপ দেখলেই হাতে তুলে নিতে ইচ্ছে করে।


সিরামাউরের মেয়ে মনীষা জানিয়েছেন, প্রথম সাপের কামড় খান গ্রামেই, নদীর পাশে। একটা সাদা সাপ কামড়ায় তাঁকে। সাপ বরাবরই দারুণ ভাল লাগে তাঁর। এরপর ২ বছর কোনও সাপ কামড়ায়নি। স্কুলে পড়ার সময় বহুবার সাপের ছোবল খেয়েছেন তিনি। এমনকী দিনে দুবার, তিনবারও ছোবল মেরেছে সাপ। স্থানীয় জ্যোতিষী, পুরোহিতরা বলেন, তাঁর সঙ্গে কোনও দেবতার যোগাযোগ রয়েছে।

তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে সব সাপ মনীষাকে কামড়েছে, সেগুলো বেশিরভাগই নির্বিষ বা কম বিষাক্ত। ওই এলাকার ৮০ শতাংশ সাপই নাকি নির্বিষ। মাত্র ৩দিন আগেও সাপ ৩৪তম ছোবল দিয়েছে তাঁকে। আপাতত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে মনীষার। সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।

মনীষার পরিবারও এই উপর্যুপরি সাপের কামড়কে ‘স্বাভাবিক’ বলে মেনে নিয়েছে। তার বাবা সুমের ভার্মা মন্তব্য করেছেন, এটা রুটিন হয়ে গিয়েছে তাঁদের কাছে। বহু মন্দিরে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। ডাকা হয়েছে ওঝাকে। কারণ এখানে বিশ্বাস আছে, গ্রামের দেবতাদের আশীর্বাদে সাপের কামড় এড়ানো সম্ভব।

অনেক পশু চিকিৎসক আবার মনে করেন, বারবার সাপের কামড় খেয়ে মনীষার শরীরে বিষ নিরোধক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সম্ভবত সে কারণেই কোনও ক্ষতি হচ্ছে না তাঁর।