কোনও দেশে আর্থিক স্বাধীনতা কতটা তার পরিমাপই এই রিপোর্টের উদ্দেশ্য। ১৬২ দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে তুলনার ভিত্তিতে কোনও দেশের আর্থিক স্বাধীনতার পরিমাপ করা হয় বিভিন্ন নীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যকলাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে। রিপোর্টে ব্যক্তিগত পছন্দের পর্যায়, বাজারে প্রবেশের দক্ষতা, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা সহ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়।
১০-র মাপকাঠিতে এই বিশ্লেষণ করা হয়। ১০-র কাছাকাছি নম্বর থাকলে সংশ্লিষ্ট দেশে আর্থিক স্বাধীনতার পর্যায় উঁচুতে রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
গত বছরের আর্থিক স্বাধীনতা সূচকে ভারতের স্থান ছিল ৭৯ তম। এবার ২৬ ধাপ নেমে গিয়েছে ভারত।
২০১৮-র তথ্যভিত্তিক এই রিপোর্ট অনুসারে, সরকারের আয়তন, বিচার ব্যবস্থা , ব্যবসা. সম্পত্তির অধিকার, বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য সংক্রান্ত স্বাধীনতা, আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমের মতো মাপকাঠিগুলিতে ভারতের পরিস্থিতির সামান্য অবনতি ঘটেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে আর্থিক স্বাধীনতার বৃদ্ধির বিষয়টি বাজার সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও বেশি উদারীকরণ সহ পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারের ওপর নির্ভর করেছে।
সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৮.৯১ ও ৮.৭১। এছাড়াও সামনের সারিতে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, সুইতজারল্যান্ড, আমেরিকা, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মরিশাসের মতো দেশ। তালিকায় সর্বনিম্ন দশটি স্থানে যে দেশগুলি রয়েছে, সেগুলি হল ইরাক, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিশর, সিরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, সুদান, লিবিয়া ও সবার শেষে ভেনেজুয়েলা।