ভোটে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁদের দিকে ২৩ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, তা তাঁরা বিধানসভায় প্রমাণ করেছেন। স্পিকারের ভোটও তাঁদের দিকে, তবে দু'পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট না পড়া পর্যন্ত তাঁর ভোটদানে বিরত থাকার কথা।
প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন কংগ্রেসের ১৬জন বিধায়ক। বিধায়ক বিশ্বজিৎ রানে অনুপস্থিত থাকেন ভোটাভুটি থেকে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস ক্ষমতা দখলে না ঝাঁপানোয় অসন্তুষ্ট রানে ইঙ্গিত দিয়েছেন, দল ছাড়ার কথা ভাবছেন তিনি।
পরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেসিরা।
আস্থাভোটে জয়ের পর পর্রীকর জানিয়েছেন,একসঙ্গে যথাযথভাবে কাজ করবে তাঁর এই জোট সরকার। ধীরে ধীরে বণ্টন হবে দফতর। কর্ম সংস্থান ও রাজ্যের উন্নয়ন তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য।
কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, টাকা ছড়িয়ে, ভয় দেখিয়ে ভোট কিনেছে বিজেপি। পর্রীকরের জবাব, রঙিন চশমা পরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে কংগ্রেস, আস্থাভোটের আগে কোনও বিধায়ককে আটকে রাখেননি তাঁরা। ইঙ্গিত স্পষ্টই তামিলনাড়ুর সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমের দিকে। কংগ্রেসের কাছে কখনওই সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
পরিস্থিতি তাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত পর্রীকরের শপথগ্রহণে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি। তবে রাজ্যপালের দেওয়া ১৫দিনের সময়সীমা এগিয়ে এনে তারা নির্ধারণ করে দেয়, বৃহস্পতিবারের মধ্যে শক্তিপরীক্ষা করতে হবে। ফলে নির্ধারিত সময়েই পর্রীকর সরকারের শপথগ্রহণ হয়।
হতাশ কংগ্রেস অবশ্য এই শপথগ্রহণকে বিরাট কেলেঙ্কারি বলে অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। বেশিদিন এই সরকার টিকবে না বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে তারা।
তবে শক্তিপরীক্ষার আগে পর্রীকর আত্মবিশ্বাসী। তাঁর দাবি, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক সমর্থন তাঁদের সঙ্গেই রয়েছে, সুতরাং ভোটাভুটিতে সমস্যা হবে না।