পানাজি: গোয়ায় আজ মন্ত্রিসভার রদবদল করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত। দুপুর তিনটেয় হবে ওই অনুষ্ঠান। রাজ্যের ১০ কংগ্রেস বিধায়ক দল ভেঙে বুধবার বিজেপিতে যোগদানের পর আজকের রদবদলে শরিক গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির (জিএফপি) তিন ও এক নির্দল বিধায়ককে মন্ত্রিসভা থেকে তিনি বাদ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় দশ কংগ্রেস বিধায়কের যোগদানে বিজেপির শক্তি বেড়ে ৪০ হয়েছে। নিজেদের জোর বেড়ে যাওয়ায় জিএফপি-কে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবন্ত। ঘটনা হল, ২০১৭-য় প্রয়াত মনোহর পর্রীকরের নেতৃত্বে বিজেপি-জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল আঞ্চলিক দলটির।
চার নতুন মুখকে মন্ত্রিসভায় ঢোকাবেন, তাই তিনি তিন জিএফপি বিধায়ক ও নির্দল রোহন খৌন্তেকে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেছেন বলে শুক্রবারই জানান সাবন্ত। বুধবার বিজেপিতে সামিল হওয়া চন্দ্রকান্ত কাভলেকর, ফিলিপ নেভিল রডরিগস ও আতানাসিও মনসেরাত্তে এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার মাইকেল লোবোকে আজ মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ানো হবে। লোবো আজই ইস্তফা দিয়েছেন। উপ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই, জলসম্পদ মন্ত্রী বিনোদ পালিয়েকার, গ্রামোন্নয়ণমন্ত্রী জয়েশ সালগাঁওকর (তিনজনই জিএফপি বিধায়ক) ও রাজস্বমন্ত্রী রোহন খৌন্তে (নির্দল)- এই চারজন বাদ পড়বেন।
তিন মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই নিয়ে দুবার মন্ত্রিসভা রদবদল করছেন সাবন্ত। প্রথম রদবদলে তত্কালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদিন ধবলিকরকে বাদ দিয়ে এমজেপি-র দলছুট বিধায়ক দীপক পৌসকরকে মন্ত্রিসভায় সামিল করেন তিনি। তখন সাবন্ত বলেছিলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জিএফপি সভাপতি তথা উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই জানিয়েছিলেন, তিনি সুষ্ঠু সমাধানের পথে সঙ্কট কাটবে বলে আশা করবেন। তিনি বলেছিলেন, জিএফপি এনডিএ-তে আছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই গোয়ায় জোট সরকারে ঢুকেছে। রাজ্যের বর্তমান বিজেপি নেতৃত্ব সেই আলোচনার শরিক ছিল না। তাই কেন্দ্রের এনডিএ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেই আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব।