পানাজি: বিজেপিকে হঠিয়ে গোয়ায় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এল কংগ্রেস। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় শেষমেশ সরকার গড়বে কারা? সেটাই এখন দেখার। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে তাদের হঠিয়ে এবার বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এল কংগ্রেস। হেরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেকরও।
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ১৭টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। ১৩টি আসনে জয়ী বিজেপি। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি জয়ী ৩টি করে আসনে। এনসিপি প্রার্থী জিতেছেন একটি আসনে। নির্দল প্রার্থী ৩টি আসনে।
উল্টোদিকে এবার গোয়ায় ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, ধুয়ে মুছে গিয়েছে তারা। কোনও সিটে এগিয়ে নেই, বিশ্রীভাবে হেরেছেন তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী এলভিস গোমেজও। কানকোলিম আসন থেকে জামানত বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে তাঁর।
গোয়ায় কিছুদিন আগে আরএসএসের একটা অংশ সংগঠনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। মনোহর পর্রীকরকে দিল্লি নিয়ে এসে যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, সেই লক্ষ্মীকান্ত পার্সেকরকে জনতা গ্রহণ করেনি। সম্ভবত সেই অসন্তোষই চেহারা নিল এবারের বিধানসভা ভোটে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী হেরেছেন তো বটেই, বিজেপির আসনও কমতে চলেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বিজেপি এখনও দাবি করছে, গোয়ায় তারাই সরকার গড়বে।
এখন গোয়ায় কংগ্রেস বা বিজেপি যে-ই সরকার গড়ুক না কেন, সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলগুলির সমর্থন প্রয়োজন হবে। ২০১২ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ২১টি আসনে জিতে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছিল। কংগ্রেস জয়ী হয় ৯টি আসনে। গোয়া বিকাশ পার্টি ২টি এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ৩টি আসনে জয়ী হয়। নির্দলরা জয়ী হয় ৫টি আসনে। এবার কংগ্রেস বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসার পর কী হবে? আঞ্চলিক দলের সমর্থনে গোয়ার সমীকরণ কী হবে? সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।