প্রসঙ্গত, দশম শ্রেণির অঙ্কপত্র খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। কারণ, পড়ুয়ারা যারা যেমন, তারা সেইরকমই পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে, খবর সূত্রের। এছাড়া, বোর্ড এই প্রশ্নফাঁস রুখতে প্রশ্নপত্রের এনক্রিপটেড কপি ই-মেলের মাধ্যমে প্রত্যেক কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু নতুন নিয়ম মেনে সেই কপি সময়মতো ডাউনলোড করতে পারেনি বহু কেন্দ্রের কর্তব্যরত কর্মী। অনেকেরই দাবি, নতুন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে, সেই কারণে পরীক্ষা শুরু হতে দেরি হয়ে যাবে। তাই আপাতত অঙ্ক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এল বোর্ড।
এদিকে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা গতকাল সেই স্কুলের প্রিন্সিপ্যালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, যেখানকার দুই শিক্ষককে সরাসরি এই ফাঁসের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার জন্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের সন্দেহ, হরিয়ানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। আপাতত প্রশ্নফাঁসের তদন্ত চলছে।
গত সপ্তাহে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় আগামী ২৫ এপ্রিল দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পত্রের ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা স্থির হয় শুধু দিল্লি-এনসিআর এবং হরিয়ানায় হবে, সেটাও জুলাই মাসে। আপাতত সেই সিদ্ধান্তই স্থগিত রাখা হল।