ভারতী জানিয়েছেন, চাকরি সংক্রান্ত কোনও চিঠি নয়, একটি ফোন পায় তাঁর ছেলে। তাতে বলা হয়, তাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে নির্বাচিত করেছে গুগল। প্রথমে তাঁরা ফোন কলটি বিশ্বাস করেননি। বরং হর্ষিতকে বলেন, ওই ফোন ভুয়ো, তাতে মন না দিতে। কিন্তু সে কথা সে তার স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে বলে। তিনি খবর ছড়িয়ে দেন সংবাদমাধ্যমে।
সাংবাদিকরা তাঁদের বাড়ি ভিড় করায় ও হর্ষিতের কথা সংবাদমাধ্যমে উঠে আসায় হর্ষিতের বাড়ির লোক এবার ধরে নেন, ওই গুগল অফার সত্যিই পেয়েছে তাঁদের ছেলে। তাঁদের মনে হয়, স্কুলের অধ্যক্ষ নিশ্চয় না জেনে শুনে কোনও খবর দেননি সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু পরে গুগল হর্ষিত নামে কোনও ১৬ বছরের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথা অস্বীকার করায় বাস্তবের মাটিতে আছড়ে পড়েন তাঁরা।
হর্ষিত চণ্ডীগড়ের গভর্নমেন্ট মডেল সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র ছিল। এ বছরই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছে সে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ গুগলের অফার লেটার বলে যে চিঠিটি সংবাদমাধ্যমে দেয়, তা তারা কোথা থেকে পেল। স্কুলের দাবি, হর্ষিতই তা পাঠিয়েছে এক শিক্ষককে। ওই চিঠিতে বহু ভুল আছে, বেতনের খুঁটিনাটিও তাতে নেই। কিন্তু হর্ষিতের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে ওই চিঠি স্কুলে দেয়নি।
ভারতী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড মানসিক আঘাতের জেরে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছে তাঁর কিশোর পুত্র। গুগলে চাকরি পাওয়ার খবরে যারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল, এখন তারাই বিদ্রূপ করছে।