লখনউ: উত্তর প্রদেশে একের পর এক এনকাউন্টারের জের, ভবিষ্যতে আর অপরাধ করবে না বলে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় ঘুরছে দাগি অপরাধীরা। তারা পুলিশ সুপারের কাছে হলফনামাও দিয়েছে। অপরাধীরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসতে চাওয়ায় খুশি পুলিশ।

কৈরানার দুই কুখ্যাত অপরাধী সেলিম আলি ও ইরশাদ আহমেদ। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছে তারা। এই দুই অপরাধীই এখন বলছে, তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হোক। পুলিশ যেন তাদের এনকাউন্টারে না মারে। ভবিষ্যতে তারা আর অপরাধ করবে না, কঠোর পরিশ্রম করে সৎ উপায়ে অর্থ রোজগার করবে। শামলির পুলিশ সুপার অজয়পাল শর্মার কাছে হলফনামাও দিয়েছে সেলিম ও ইরশাদ।

কৈরানা থানার আধিকারিক ভগবত সিংহ বলেছেন, ‘অপরাধীরা যাতে অপরাধের পথ থেকে সরে আসে, সেটা নিশ্চিত করাই পুলিশের প্রাথমিক লক্ষ্য। অপরাধীদের আর্জিতেই স্পষ্ট, ওরা পুলিশকে ভয় পাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এটা দরকার। এই দুই অপরাধীর উপর কড়া নজর রাখা হবে।’

উত্তর প্রদেশ সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ১০ মাসে এনকাউন্টারে ৩৮ জন অপরাধীকে খতম করেছে পুলিশ। গত ২৫ দিনে ৬০টি এনকাউন্টারে আটজন অপরাধীকে খতম করা হয়েছে। লখনউ, শামলি, সহারনপুর, বাগপত, মুজফফরনগর, বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর, হাপুর, কানপুর ও মেরঠেই বেশিরভাগ এনকাউন্টার হয়েছে। সেলিম ও ইরশাদের কাতর আর্জি থেকেই স্পষ্ট, পুলিশের এই কঠোর মনোভাব অপরাধীদের ভয় পাইয়ে দিয়েছে।