প্রসঙ্গত, ডাক্তার কাফিল খান গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। সেখানেই গতবছর ২৪ ঘণ্টায় অক্সিজেনের অভাবে প্রায় ২৪ নবজাতকের মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত কাফিল খান কেরল গিয়ে, সেখানে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে চান। তাঁর এই আবেদনকে সাদরে গ্রহণ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
কাফিল খানের মতে, যেহেতু এনসেফ্যালাইটিস এবং নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের উপসর্গের অনেক মিল রয়েছে, তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও কিছুটা এক। উত্তরপ্রদেশে বর্ষাকালে এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। সেখানে এই রোগের চিকিৎসা করেছেন কাফিল খান। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই কেরলে কাজ করতে চান ওই ডাক্তার। নিপা ভাইরাসে আক্রান্তরও প্রথমে মাথার যন্ত্রণা তারপর জ্বর, মস্তিষ্কে জ্বালা, কোমা এবং অবশেষ মৃত্যু হয়। নার্স লীনি যিনি এই রোগের চিকিৎসা করতে করতেই মারা গিয়েছেন, তাঁকেই আদর্শ হিসেবে রেখে এই কাজে এগোতে চান গোরক্ষপুরের এই শিশু বিশেষজ্ঞ।