গোরক্ষপুর: যোগী আদিত্যনাথের কেন্দ্র গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজ বা বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে ফের অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হয়েছে। এনসেফ্যালাইটিসের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে এক একবার ১৬টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে, যা দেড় ঘণ্টা করে চলে। আজ সকালেই ওই ওয়ার্ডের জন্য এসে যায় ৫০টি সিলিন্ডার। দুপুরেও আরও ৫০টি সিলিন্ডার আনা হয়েছে।

অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংস্থা পুষ্পা সেলসকে বকেয়া ৫১ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও তাদের সরবরাহ ঠিকমত না হওয়ায় যোগাযোগ করা হয়েছে আরও দুটি সংস্থার সঙ্গে। জানা গিয়েছে, পুষ্পা সেলস ওই হাসপাতালের কাছে ৬৬ লক্ষ টাকা পেত। চুক্তি অনুযায়ী মেডিক্যাল কলেজের বকেয়া যতক্ষণ ১০ লাখ পর্যন্ত থাকছে, ততক্ষণ অক্সিজেন সরবরাহ বজায় থাকার কথা। পয়লা অগাস্টই ওই সংস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেয়, টাকা না মেটালে তারাও আর অক্সিজেন জোগাড় করতে পারবে না।

হাসপাতাল কর্মীরা অক্সিজেনের অভাবের কথা জানিয়ে ১০ তারিখই চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় পাইপ লাইন কর্তৃপক্ষকে। ওই চিঠিতে কর্মীরা অক্সিজেন সরবরাহ কম থাকার কথা পরিষ্কার জানিয়েছিলেন। ওদিনই তাঁরা সতর্ক করেন, অক্সিজেন সরবরাহ ঠিকমত না হলে বাচ্চাদের জীবন সংশয় হবে। তারপরেও হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এরপর ১০ তারিখ সন্ধেয় ওই হাসপাতালে অক্সিজেন সরবহার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সে রাতেই শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ ছোঁয়, সব মিলিয়ে মারা যান ৩৬ টি শিশু সহ ৬৩ জন।