নয়াদিল্লি: যেভাবে আইনভঙ্গ করে এনডিটিভি ইন্ডিয়া পাঠানকোট জঙ্গি হামলার সম্প্রচার করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই তাদের একদিন সম্প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ৩০দিন বন্ধ রাখার প্রস্তাব থাকলেও তার বদলে মাত্র একদিনের প্রতীকী ‘শাস্তি’ দেওয়া  হয়েছে  চ্যানেলটিকে। এনডিটিভি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনার জবাব এভাবেই দিল সরকার।


কেন্দ্র মন্তব্য করেছে, এ ব্যাপারে যাবতীয় সমালোচনা 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত', এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে সংবাদমাধ্যমের ‘কণ্ঠরোধ’ দেশে জরুরি অবস্থা ফিরিয়ে এনেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খারিজ করে তারা বলেছে, ইউপিএ সরকার ২০০৫ থেকে এমন ২১টি ব্যান অর্ডার ইস্যু করেছিল।

এনডিটিভির বিষয়টি দেখতে গঠিত হয় মন্ত্রিপর্যায়ের একটি কমিটি। তদন্তের পর তারা স্পষ্ট মন্তব্য করে, জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক কোনও কিছুকে কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত বলে দেখানো যায় না। আর এই প্রথম এনডিটিভি যে এমনটা ঘটাল তাও নয়। এর আগেও প্রোগ্রাম কোড অফ কেবল আইন লঙ্ঘন করেছিল তারা। তাছাড়া এই সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত যে নজিরবিহীন, এমনও নয়। কেবল টিভি আইন ও প্রোগ্রাম কোড গাইডলাইন লঙ্ঘন করার জন্য ২০০৫ থেকে বিভিন্ন চ্যানেলকে ১দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন ২৮টি নির্দেশ রয়েছে। এর মধ্যে ২১টি জারি করা হয়েছিল ইউপিএ আমলে।

মন্ত্রিপর্যায়ের ওই কমিটি জানিয়েছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে তারা লক্ষ্য করেছে, অস্ত্রভাণ্ডারের অবস্থান থেকে কোথায় জঙ্গিদের ঘিরে ফেলা হয়েছে- সংবেদনশীল সব তথ্য বারবার প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। এমনকী কোথায় স্কুল বা লোকালয় রয়েছে, তাও বলে দিয়েছে তারা, যা জঙ্গিদের অনায়াসে কাজে আসতে পারত।

ওই কমিটির দাবি, এর ফলে সেনাকর্মী তো বটেই, সাধারণ মানুষও নিরাপত্তাগত সঙ্কটে পড়েছেন। তা ছাড়া তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয় কিন্তু সন্তোষজনক জবাব দেয়নি তারা।