নয়াদিল্লি: সব স্মার্টফোন কোম্পানির কাছে ভারত সরকার জানতে চাইল, তারা তাদের তৈরি ফোনের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যপঞ্জি সুরক্ষিত রাখার জন্য কী কী ব্যবস্থা, পদ্ধতি নিচ্ছে। এই কোম্পানিগুলির বেশিরভাগই চিনের।


ডোকালাম ইস্যুতে ভারত ও চিনের মধ্যে চলতি সংঘাত, তার পাশাপাশি এ দেশে লাগাতার চিনা তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিকম পণ্য আমদানিতে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ ও সংশয়ের প্রেক্ষাপটে এই নির্দেশ দিল সরকার।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের জনৈক প্রথম সারির কর্তা বলেন, সব কোম্পানিকে তাদের তথ্য পেশ করতে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

মোবাইল ফোন থেকে তথ্য বেহাত, চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টের প্রতি ইঙ্গিত করেন তিনি। প্রথম ধাপে মোবাইল যন্ত্র, সেগুলিতে আগে থেকে লোড করা সফটওয়্যার ও অ্যাপের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানিগুলি কী প্রতিক্রিয়া ও কতটা সাড়া দেয়, তার ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রক যেখানে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে মোবাইল যন্ত্র পরীক্ষা করে দেখবে, তার অডিট করবে।

সরকারি নির্দেশমতো পদক্ষেপ করা না হলে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৪৩ (এ) অনুচ্ছেদের আওতায় নির্ধারিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে মন্ত্রক।

দিনদিন ইকমার্স লেনদেন, ডিজিট্যাল পেমেন্ট বাড়তে থাকায় মোবাইলে তথ্য সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।

ওই অফিসার বলেন, মোবাইল ফোনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এটা সুনিশ্চিত করাই চলতি প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য।

তিনি জানান, সব মিলিয়ে ২১টি স্মার্টফোন নির্মাণকারী কোম্পানিকে লিখিত ভাবে তথ্য পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রক।

তিনি বলেন, এ দেশে বিক্রি করা যে কোনও যন্ত্রে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মাপকাঠির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নির্মাতা সংস্থা সেই মাপকাঠি পূরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত ১৪ আগস্ট মন্ত্রকের পদস্থ অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।