নয়াদিল্লি: বর্তমান সাংসদ তথা প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ই আহমেদের মৃত্যুর পরেও সংসদের অধিবেশন স্থগিত না রেখে বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি এদিন বাজেট পেশ স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন জানিয়ে দেন, বাজেট পেশ করা সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। তাই অধিবেশন স্থগিত রাখা যাবে না।


গতকাল সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাংসদ ই আহমেদ। গভীর রাতে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই তৈরি হয় সাসপেন্স। তাহলে কি একদিন পিছিয়ে যেতে পারে বাজেট? আজ শোকপ্রস্তাব পাঠের পর মুলতুবি হয়ে যাবে সংসদ? তৈরি হয় চূড়ান্ত জল্পনা। শেষপর্যন্ত জানা যায়, প্রয়াত সাংসদকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর আজই সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

সংসদের ইতিহাস বলছে, এর আগেও ১৯৫৪ এবং ৭১ সালে বাজেট পেশের ঠিক আগে সাংসদের মৃত্যু ঘিরে এই ধরনের ধোঁয়াশা দেখা গিয়েছিল। তবে, সেই দু বারই প্রয়াত সাংসদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর বাজেট পেশ হয়েছিল। এবারও সেটাই হল।

আজ সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই ই আহমেদের মৃত্যুর কথা জানান স্পিকার। লোকসভায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরেই কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অধিবেশন স্থগিত রাখার দাবি জানান। বাম দলগুলি এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সাংসদরাও একই দাবি জানান। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি বাজেট পেশের দিন স্থির করে দিয়েছেন। তাই সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা মেনে বাজেট পেশ করতেই হবে। প্রয়াত সাংসদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামীকাল অধিবেশন স্থগিত থাকবে।

মল্লিকার্জুন অবশ্য এরপরেও প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তিনি দাবি করেন, গতকালই ই আহমেদের মৃত্যু হয়। কিন্তু সেটা গোপন রাখা হয়েছিল। এর জবাবে স্পিকার বলেন, চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। এরপরেই বাজেট পেশ করেন জেটলি।