নয়াদিল্লি: নিকাহ হালালা লিঙ্গ সমতার নীতির পরিপন্থী। আগামী দিনে সুপ্রিম কোর্টে এই প্রথার আইনি বৈধতার বিষয়টি যখন উঠবে, কেন্দ্রীয় সরকার জানাবে, তারা এর বিরোধী। বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের জনৈক অফিসার। প্রসঙ্গত, নিকাহ হালালা প্রথায় কোনও ব্যক্তিকে নিজের ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীকে আবার বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই প্রথায় একজন ব্যক্তি প্রাক্তন স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারেন না, যতক্ষণ না তিনি আরেক পুরুষকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে ডিভোর্স পাচ্ছেন, ইদ্দত বলে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে তার থেকে আলাদা থাকছেন।

নিকাহ হালালার আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশ করা চারটি পিটিশনের শুনানি করবে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

তিনি বলেন, সরকার মনে করে, নিকাহ হালালা প্রথাটি লিঙ্গ সাম্যের আদর্শের বিরোধী। সুপ্রিম কোর্টেও এ ব্যাপারে সরকার তার স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত সে সময় শুধু তাত্ক্ষনিক তিন তালাকের বিষয়টি বিচার করে দেখতেই রাজি হয়, নিকাহ হালালা ও বহুবিবাহের বিষয়টি আলাদা ভাবে বিবেচনা করা হবে বলে জানায়।

গত মার্চে সুপ্রিম কোর্ট নিকাহ হালালা ও বহুবিবাহ নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস দেয়। ওই অফিসার বলেন, সরকারের বক্তব্য একই। ভারত এই প্রথার বিরোধী। সুপ্রিম কোর্টে এই অবস্থানের প্রতিফলন দেখা যাবে।
গত বছর তাত্ক্ষনিক তিন তালাক বেআইনি, অসাংবিধানিক বলে জানায় শীর্ষ আদালত। তারপর সরকারও এই প্রথাকে আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য করতে বিল আনে। সেই বিল লোকসভার অনুমোদন পেলেও রাজ্যসভায় আটকে রয়েছে। এতে তাত্ক্ষণিক তিন তালাক অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য স্বামীর তিন বছরের কারাবাসের বিধিও রয়েছে বিলে।

মুসলিম মহিলা (বিবাহ সংক্রান্ত অধিকার রক্ষা) বিলটি শুধুমাত্র তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বা তালাক-ই-বিদ্দত এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। বিলে তিন তালাক পাওয়া মহিলাকে তাঁর নিজের ও নাবালক সন্তানদের জন্য ভরণপোষণের ভাতা চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি সন্তানদের হেফাজতও চাইতে পারবেন। খসড়া আইনে মৌখিক, লিখিত বা ইমেল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ অর্থাত ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দেওয়া তিন তালাককে বেআইনি, অসার বলা হয়েছে।