নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণতার অভিযোগ রবার্ট বঢরার। সনিয়া গাঁধীর মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে নানা মামলায় ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্ত চলছে। তাঁর মা মৌরিনকেও ডেকেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুক পোস্টে ভোট সামনেই, আর সেসময় মোদি সরকার তাঁর ৭৫ বছর বয়সি মাকেও হেনস্থা করছে বলে দাবি করেছেন রবার্ট।



আজ রাজস্থানের বিকানেরে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ সংক্রান্ত এক মামলায় ইডি-র নোটিস পেয়ে তাদের জয়পুরের দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেন রবার্ট, মৌরিন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। হাজিরার আগেই ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন রবার্ট। কেন সাধারণ নির্বাচনের প্রচার শুরুর মাত্র এক মাস আগে, তাঁকে ডাকতে সরকারের চার বছর আট মাস লাগল, সেই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ওঁরা কি মনে করে, দেশের মানুষ এটাকে ভোটের গিমিক বলে দেখছে না? তারপরই লেখেন, আমার ৭৫ বছরের মা ও আমাকে জয়পুরে ইডি-র সামনে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এই প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের এতটা নীচে নেমে একজন প্রবীণ নাগরিককে ডেকে পাঠানোর কারণ বুঝতে পারছি না, যিনি, সবাই জানেন, গাড়ি দুর্ঘটনায় মেয়েকে, ডায়াবেটিসে অসুস্থ ছেলেকে, স্বামীকেও হারিয়েছেন। তিনটি মৃত্যুর পর আমি তাঁকে আমার অফিসে আমার সঙ্গে থাকতে বলি, যাতে তাঁর দেখভাল হয়, আমরা দুজনেই স্বজনবিয়োগের যন্ত্রণা একসঙ্গে ভাগ করেও নিতে পারি।
তাঁর অফিসে থাকার জন্যই মাকে অভিযুক্ত করে বদনাম করা হচ্ছে, জেরার জন্য তলব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রবার্ট। জানান, ইডি-র দিল্লি অফিসে ইতিমধ্যেই তিনবার তাঁকে জেরা করা হয়েছে।
রবার্ট পোস্টে লেখেন, আমি যেহেতু সবসময় আইন মেনেছি, সামগ্রিকভাবে শৃঙ্খলা মেনে চলি, আমার পক্ষে যত ঘন্টা ধরেই জেরা চলুক, সহ্য করার ক্ষমতা আছে, কিছু হারানোরও নেইষ তাই সম্মান, মর্যাদার সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেব। এই পর্বও কেটে যাবে, আমি আরও শক্তি অর্জন করব। যা হয় হোক, ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন।
বিদেশে বেআইনি উপায়ে সম্পত্তি অর্জন, জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলায় ইডি তদন্ত করছে রবার্টের বিরুদ্ধে।