এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল পনীরসেলভমকে অনুরোধ করেছেন, যেন তিনি আপাতত প্রশাসনিক কাজকর্ম চালিয়ে যান।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ৬৬.৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তির মামলায় প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা, শশীকলা ও তাঁর দুই আত্মীয়ের মুক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে। কিন্তু গত বছর ৭ জুন এই মামলায় রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। আইন বলছে, কোনও মামলায় অপরাধীর যদি ২ বছরের বেশি জেল হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি ৬ বছরের জন্য ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। ঠিক এই কারণেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অপরাধী আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবও আপাতত ভোটপ্রক্রিয়ার বাইরে।
আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত হতে পারে শশীকলার ভাগ্য। যদি ছাড় পান, তবে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনও বাধা থাকবে না।
শশীকলা মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ধরে নিয়ে চেন্নাই জুড়ে অবশ্য চলছে তোড়জোড়। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী অডিটোরিয়ামের দেওয়াল আপাতত রাঙানো হচ্ছে নতুন করে। আসনটাসনও মেরামতি চলছে। দলীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত শশীকলার মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্যদের তালিকা তৈরি করতে। জয়ললিতার মৃত্যুর পর শশীকলাকে পূর্ণ সমর্থন জানানো ক্ষমতাশালী এডিএমকে নেতা সেঙ্গোট্টাইয়ান জায়গা পেতে পারেন মন্ত্রিসভায়। জয়ার বান্ধবীতে সর্বোচ্চ পদ দেওয়ার বিরুদ্ধে দলের মধ্যে সম্ভাব্য বিদ্রোহ অঙ্কুরে বিনাশ করেন তিনি। এছাড়াও থাকতে পারেন শশীকলার পরিবারের ঘনিষ্ঠ ভি সেন্থিল বালাজি ও শশীকলার স্বামীর এম নটরাজনের ভগ্নীপতি এম রঙ্গস্বামী।