চলতি মাসের ১ তারিখই কেরোসিনের মূল্য লিটারে ২৫ পয়সা বাড়িয়ে প্রথম বৃদ্ধিকে কার্যকর করা হয়েছে। কেন্দ্রের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক থেকে এই মর্মে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে, দেশব্যাপী রেশনের মাধ্যমে বিক্রিত কেরোলিনের দামে এখনও নতুন মূল্য কার্যকর হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সব রাজ্যের কাছে এই নির্দেশিকা গেলে তবেই এই নিয়ম রেশনেও প্রতিফলিত হবে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, গত ২০১১ সালের জুন মাসে শেষবার লিটারে ২ টাকা ৬৪ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল। তার ঠিক এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০১০ সালের জুন মাসে কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছিল লিটারে ৩ টাকা ২৩ পয়সা। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রেশনে ১৪.৯৬ টাকা দরে কেরোসিন মেলে। এর জন্য ভর্তুকি দিতে হয় লিটারে ১৩.১২ টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রকে বইতে হয় লিটারে ১২ টাকা। আর বাকিটা বইতে হয় ওএনজিসি-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উৎপাদনকারী সংস্থাকে।
২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে জ্বালানির জন্য মোট ২৭,৫৭১ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে সরকারকে। এর মধ্যে ৪১.৭ শতাংশই কেরোসিনের জন্য খরচ হয়েছে। পূর্বতন ইউপিএ সরকার ডিজেলের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। সেই সময় প্রতিমাসে ডিজেলের দর লিটারপ্রতি ৫০ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে ক্ষমতায় এসে ডিজেলকে বিনিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্র। এর আগে পেট্রলকে ২০১০ সালের জুন মাসে বিনিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, আগামী বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলবে। এর ফলে, চলতি অর্থবর্ষে ভর্তুকির পরিমাণ ৭৬০ কোটি টাকা কমবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। চলতি অর্থবর্ষে কেরোসিনের পিছনে সম্ভাব্য ভর্তুকির পরিমাণ ৯ থেকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।