নয়াদিল্লি:   সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে এখন যেকোনও খবরই নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারের মাধ্যমে কোনও ঘটনা ঘটলে, সেই সংক্রান্ত নানা ধরনের খবর, লেখা, ভিডিও হামেশাই ভাইরাল হতে দেখা যায়। সমস্যা হল এই ভাইরাল হওয়ার চক্করে অনেক সময় ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং মিথ্যা খবরও দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায়। যার জেরে অশান্তি, মার-দাঙ্গা, হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বই এখন সোশ্যাল মিডিয়া জ্বরে আক্রান্ত। আর সেই জ্বর বহু সময়ই কাবু করে ফেলছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে দেশের প্রশাসনকেও।

সাম্প্রতিক এক ঘটনার কথাই ধরা যাক। ছেলেধরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন খবর হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে যাওয়ার পরই বহু নিরীহ মানুষকে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা পুরো ব্যধির সিকিভাগ। আপাতত,  এই ব্যধি নিয়ন্ত্রণে আনতে তত্পর কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জন্যে কেন্দ্র গুগল, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুককে এধরনের খবর নিয়ন্ত্রণের জন্যে এখন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বেশির ভাগ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার সদর দফতরই দেশের বাইরে। তারা কেউই ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়ে যাবে, এই যুক্তিতে শেয়ার করে না। এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির একজন করে প্রতিনিধির সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গাউবা বৈঠকে বসেন। সেখানেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির ওপর নজরদারি চালাতে এবং অভিযোগ জানানোর জন্যে একদল বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হোক। কারণ, ভিত্তিহীন খবর ভাইরাল হওয়ার জেরে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি গাউবার।

এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, গুগল, ইউটিউব এবং ইন্সটাগ্রামের প্রতিনিধিরা।  ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে।

এদিকে এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্টরাও যে বিভিন্ন পদক্ষেপ এরমধ্যেই গ্রহণ করেছে মিথ্যা খবর রুখতে, সে সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তাঁরাও জমা দিয়েছে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের সঙ্গে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করতে তাঁরা প্রস্তুত।