নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীর পরিকাঠামোগত চাহিদা মেটানোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিক ভারতীয় রেল। যে সব ট্রেনে করে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র যায়, সেগুলির গতি আরও বাড়াক তারা। কেন্দ্রীয় সরকার রেল বিভাগকে এই নির্দেশ দিল।

দুই প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মধুর নয়। সে কথা মাথায় রেখেই সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর সাহায্যে যাওয়া ট্রেনের গতি বাড়ানোর নির্দেশ। সেইমতো এই সব ট্রেনে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া সেনার দাবি মেনে নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে শুধু সেনাবিভাগের জন্য বিশেষ লাইনের ব্যবস্থা করতে চলেছে রেল, যাতে অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তে দ্রুত অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছনো যায়। অসম-অরুণাচল সীমানার ভালুকপং, অসমের মাকুম ও শীলাপাহাড়, নাগাল্যান্ডের মোকোচুং ও ডিমাপুরে এই ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি সেনার চাহিদা বুঝতে আধিকারিকদের উত্তর পূর্বাঞ্চলে পাঠাবে রেল মন্ত্রক, পাঠানো হবে পাকিস্তান সীমান্তেও।

৭৩ দিন ধরে চলা ডোকলাম অচলাবস্থার জেরে শুধু সেনার জন্য ট্রেনের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। যুদ্ধের জন্য সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যেতে রেলওয়েই সবথেকে কাজে লাগে। সরকারি সূত্রের খবর, চিন এখনও উত্তর ডোকলামে সেনা মজুত রেখেছে, সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটাচ্ছে তারা, বাড়াচ্ছে সেনা মোতায়েনও।

এই মুহূর্তে প্রতি বছর ৭৫০-র মত ট্রেন কাজে লাগিয়ে ভারতীয় সেনা তাদের আগ্নেয়াস্ত্র, যুদ্ধের ট্যাঙ্ক ইত্যাদির যন্ত্রাংশ বহন করে। এ জন্য প্রতি বছর রেল বিল ধরায় ২০০০ কোটি টাকা।