নয়াদিল্লি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের স্বপক্ষে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে তৎপর মোদী সরকার। কংগ্রেস-সহ বৈঠকে উপস্থিত সব দলের নেতৃত্বের কাছে অপারেশনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরলেন রাজনাথ সিংহ। একইসঙ্গে ২৫ দেশকে গতরাতের অভিযান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। ছিলেন প্রতিরক্ষা, বিদেশমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব নৃপেন্দ্র সিংহ।
রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, জেডিইউ নেতা শরদ যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলজেপি নেতা রামবিলাস পাসোয়ান, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার, বিএসপির সতীশ মিশ্র, আরজেডির প্রেমচাঁদ গুপ্ত সহ অন্যান্যরা।
বৈঠকে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস’ বলেন, প্রয়োজনে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী তৈরি। পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে, সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনা যে কোনও রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছে।
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা অভিযানের সিদ্ধান্তের প্রশ্নে মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। কেন্দ্রের এই কড়া অবস্থানকে সমর্থন করেছে অন্যান্য বিরোধী দলও।
সর্বদল বৈঠকের আগে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, পঞ্জাব, বিহার-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে ঘটনার কথা জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে।
জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার কথা জানানো হয় জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকেও। ইসলামাবাদকে একঘরে করতে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা সরকারিভাবে জানানো হয়েছে ২৫টি দেশকে। এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়া সহ ২৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। তাঁদের বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই, জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা।