নয়াদিল্লি: ওষুধের পাওয়াটাই গরিব মানুষের কাছে একটা চিন্তার বিষয়। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রতিশ্রুতি, আর্থিক বোঝা কমিয়ে স্বাস্থ্য পকিষেবাকে প্রত্যেক ভারতীয়র সামর্থযোগ্য করে তুলতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধী প্রকল্প (পিএমবিজেপি)-এর লাভবানদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মোদী জানান, আরও বেশি হাসপাতাল, শয্যা ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী সরকার। পাশাপাশি, গরিবদের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা খরচ যাতে কমানো যায়, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
https://twitter.com/PMOIndia/status/1004576292098850816
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসকারী গরিব মানুষরা যাতে সুচিকিৎসা পান, তার জন্য দেশে আরও ৯০টি মেডিক্যাল কলেজ খোলা হয়েছে। ১৫ হাজারের বেশি এমবিবিএস আসন তৈরি করা হয়েছে। তিনি যোগ করেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ কোটি পরিবার এবং প্রায় ৫০ কোটি মানুষকে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা করানো হবে।
https://twitter.com/PMOIndia/status/1004580274154319872
মোদী বলেন, গত চার বছরে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে গরিব মানুষদের চিকিৎসার খরচ কমে আসে। তাঁর মতে, ওষুধ পাওয়াটাই গরিব মানুষের কাছে সবথেকে চিন্তার বিষয়। সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, প্রত্যেক ভারতীয়র সামর্থ্যের মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবাকে আনা যায়।
https://twitter.com/PMOIndia/status/1004575347046641664
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, জনৌষধী প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩,৬০০ জনৌষধী কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে ৭০০-র বেশি জেনেরিক ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে তা সর্বনিম্ন মূল্যে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ক্যান্সার হোক বা রক্তচাপ—যে কোনও রোগ, অসুস্থতার ওষুধের দাম ৫০-৯০ শতাংশ কম রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এখন স্টেন্ট এবং হাঁটু প্রতস্থাপন (নি ট্রান্সপ্লান্ট) খরচ অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে, গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার উপকৃত হন। বলেন, আগে নি-ট্রান্সপ্লান্ট করতে আড়াই থেকে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হতো। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০-৮০ হাজার টাকা।