নয়াদিল্লি: আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই হওয়া শুধু বাকি। তবে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, জাকির নায়েকের এনজিও ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষণা করা হবে।  খোদ প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে হওয়া কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জনৈক কর্তা এ কথা জানান।
জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তদন্তে প্রকাশ, জাকিরের ওই এনজিও-র সঙ্গে সম্পর্ক আছে পিস টিভি নামে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামি চ্যানেলের, যাদের দিকে সন্ত্রাসবাদী ভাবধারা  প্রচারের অভিযোগে আঙুল উঠেছে আগেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মত, আইআরএফের মাথায় রয়েছেন যে জাকির, তিনি উগ্র মত প্রচার করে একাধিক ভাষণ দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদী প্রোপাগান্ডাতেও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ। মহারাষ্ট্র পুলিশও তাঁর বিরুদ্ধে যুবকদের মধ্যে মৌলবাদী ভাবধারা প্রচার করে মগজ ধোলাই,  সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে প্রলুব্ধ করার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।
জাকির  'আপত্তিকর' অনুষ্ঠান করার জন্য আইআরএফের বিদেশি তহবিলের অর্থ পিস টিভি-তে সরিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। ভারতে নির্মিত ওইসব অনুষ্ঠানের বেশিরভাগই জাকিরের উগ্র, ঘৃণা ছড়ানো ভাষণে ভরা। তিনি পিস টিভির ভাষণে 'সব মুসলিমকে সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওঠা'র ডাক দিয়েছেন বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জাকির পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদেশি অর্থ সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখছে বিভিন্ন এজেন্সি।


জাকিরের কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রথম প্রশ্ন ওঠে বাংলাদেশের ঢাকার অভিজাত রেস্তোরাঁয় কয়েক মাস আগের সন্ত্রাসবাদী হামলায় তাঁর নাম ওঠায়। বাংলাদেশের একটি নামী সংবাদপত্র জানায়, জাকিরের ভাষণ উদ্ধৃত করেই ফেসবুকে প্রচার চালিয়েছে অভিজাত ক্যাফেতে হামলাকারীদের একজন, রোহন ইমতিয়াজ। পিস টিভির দৌলতে জাকিরের বাংলাদেশে ভাল পরিচিতও আছে বলে জানা যায়।