নয়াদিল্লি: দেশের সমস্ত মানুষকেই করোনাভাইরাস টিকা দেওয়ার কথা কখনই বলেনি কেন্দ্র। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। এমন একটি গুরুতর বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে শুধুমাত্র সত্য তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, ’’দেশের সকলকে টিকা দেওয়ার কথা বলেনি সরকার।‘‘
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের সুরে গলা মিলিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ডিজি বলরাম ভার্গব। তিনি বলেছেন ’’টিকা কতটা কার্যকর, তার উপরেই টিকাকরণ প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করে।আমরা যদি করোনা যুদ্ধের প্রথমসারিতে থাকা মানুষদের বা প্রাণসংশয় রয়েছে এমন মানুষদের টিকা দিয়ে ভাইরাসের শৃঙ্খলটাকে যদি আমরা ভাঙতে পারি তাহলে সমগ্র দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে।‘‘
করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত সাপ্তাহিক সম্মেলনে রাজীব ভূষণ জানিয়েছেন ভারতের পরিস্থিতি অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো। প্রতি মিলিয়নে সংক্রমণের হার ভারতে বেশ কম বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে গড় সংক্রমণের হার ছিল ৩.৭২ শতাংশ। যা ইউরোপীয় দেশগুলির তুলনায় অনেকটা কম বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব ভূষণ।স্বাস্থ্য সচিব উল্লেখ করেছেন ১১ নভেম্বর থেকে পয়লা ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে সংক্রমণের হার ৭.১৫ থেকে কমে ৬.৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে এসেছিল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার একশো কোটি টাকার মানহানির মামলা প্রসঙ্গটিও। কোভিশিল্ড টিকার পরীক্ষামূলক পর্বে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দাবি জানিয়েছেন সেরামের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী। করোনা-টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলে এই অসুস্থতা বলে মানতে চায়নি সেরাম। উপরন্তু ওই স্বেচ্ছাসেবীর বিরুদ্ধে একশো কোটি টাকার মানহানির মামলা করে সেরাম। এ ধরনের ঘটনা সার্বিক ভাবে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাওয়া হয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের কাছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন এ জাতীয় ঘটনা করোনা-টিকার টাইমলাইনের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলবে না।