নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে যেভাবে পাথর ছোঁড়া বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে সেনা এক বিক্ষোভকারীকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে তা সমর্থন করল কেন্দ্র। আজ সম্ভবত ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে দেবেন এই অবস্থান।

জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ওই জিপের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ভিডিওটি প্রকাশ করেন। যেভাবে একজনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের হাত এড়িয়েছে সেনা, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয় মানবাধিকার সংগঠনগুলি ও বিরোধী রাজনৈতিক দল। কিন্তু কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে, মরণ বাঁচন ওই অবস্থায় যেভাবে রক্তপাত না ঘটিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে সেনা নিরাপদে সকলকে উদ্ধার করেছে, তা সমর্থন করছে তারা।

যে পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে সংশ্লিষ্ট সেনা অফিসার ওই বিক্ষোভকারীকে জিপের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কেন্দ্র তার প্রশংসা করেছে।



৯ এপ্রিল শ্রীনগর উপনির্বাচন চলাকালীন ভোটদান কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করে অন্তত ৯০০ বিচ্ছিন্নতাবাদী। ভেতরে তখন ১২জনের মত ভোটকর্মী, ভোটদান সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কিনা দেখতে মোতায়েন ৯-১০জন আইটিবিপি জওয়ান, জম্মু কাশ্মীর পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল ও একজন বাস চালক। ছিলেন ওই সেনা আধিকারিকও। তিনি জানিয়েছেন, কোনওভাবেই এলাকা থেকে বেঁচে ফেরা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হত না, এমনকী রাস্তার পাশে বাড়ির ছাদে ছাদে পাথর ও অস্ত্রশস্ত্র হাতে ভিড় করেছিল বিক্ষোভকারীরা। তাই উপায়ান্তর না দেখে এক বিক্ষোভকারীকে হাতের কাছে পেয়ে তাকেই জিপের সঙ্গে বেঁধে নিরাপদে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। নিজেদেরই একজনকে সেনা জিপের সামনে বাঁধা দেখে বিক্ষোভকারীরা তার ওপর আ পাথর ছুঁড়তে পারেনি, ফলে সেও অক্ষত থাকে।

সেনা তদন্তেও ওই আধিকারিকের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের প্রশংসা করা হয়েছে। নজিরবিহীন ওই পরিস্থিতিতে এছাড়া তাঁর আর কিছু করার ছিল না বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা।

প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রতিমন্ত্রী ও উধমপুর কেন্দ্রের সাংসদ জিতেন্দ্র সিংহ ইঙ্গিত দিয়েছেন, কেন্দ্র মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের স্বার্থ বুঝে সেনাকে টার্গেট করেছে। কাশ্মীরী নেতারা উপত্যকায় ভোটের কথা ভেবে সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দিচ্ছেন। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস এঁদের নেই, তাই এঁদের যত অসন্তোষ সেনার বিরুদ্ধে।