নয়াদিল্লি: চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি ও সুরক্ষা বাড়াতে অতিরিক্ত বাহিনী তৈরি করার ভাবনা কেন্দ্রের।


পাক ও বাংলাদেশ সীমান্তে পাহারা দেয় বিএসএফ। অন্যদিকে, চিন সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে আইটিবিপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, বিএসএফ-এর অতিরিক্ত ৬ ব্যাটালিয়ন এবং আইটিবিপি-র অতিরিক্ত ৯ ব্যাটালিয়ন গঠন করার ভাবনাচিন্তা চলছে। প্রসঙ্গত, জওয়ান ও অফিসার মিলিয়ে প্রতিটি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১০০০ জন সদস্য থাকেন।

বিএসএফ সূত্রে খবর, পাকিস্তান লাগোয়া নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে বাহিনী। এর জন্য জম্মু ও কাশ্মীর ও পঞ্জাবে তাদের মোতায়েন করা হবে। এর পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এর জন্য নতুন ব্যাটালিয়ন গড়া হলে, পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে তাদের মোতায়েন করা হবে।

বিএসএফ-এর এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে এখনও কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। তিনি জানান, এই জায়গাগুলি দিয়ে মূলত এখনও অনুপ্রবেশ, মাদক-পাচার, মানব-পাচার, এবং অবৈধ পারাপার চলে।

আবার আইটিবিপি-র এখ শীর্ষ আধিকারিক জানান, প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ চিন-সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর বর্ডার আউটপোস্টগুলির (বিওপি)-র মধ্যকার ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বাহিনীর প্রয়োজন অন্তত ১২ ব্যাটালিয়ন। কিন্তু, আপাতত ৯টি ব্যাটালিয়ন অবিলম্বে প্রয়োজন।

ওই কর্তা জানান, সাম্প্রতিক অতীতে যে হারে চিনা সেনার আগ্রাসন বেড়ে গিয়েছে, তার মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই, চিন-সীমান্তে ৪৭টি নতুন বিওপি-গঠন করায় শিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, বাহিনী বেশি হলে, তাদের ভালভাবে রোটেশন করে ব্যবহার করা যাবে। দুর্গম চিন-সীমান্তে এক জন জওয়ানকে বেশি দিন থাকতে হবে না।