নয়াদিল্লি: ভবিষ্যতে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নয়, আধার কার্ডই হতে চলেছে সব লেনদেনের মাধ্যম। এমনটাই ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র।


উন্নত রাষ্ট্রের ধাঁচে এদেশেও প্রত্যেক নাগরিকের কাছে থাকবে একটা কার্ড যার মাধ্যমে সমস্ত প্রকার খরচ সম্ভব হবে। ওই কার্ডের সঙ্গেই যুক্ত থাকবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। আর তার জন্য ‘আধার’ কার্ডই পছন্দ কেন্দ্রের।


সূত্রের খবর, এই পরিষেবার আওতায়, আধার কার্ডধারীকে বিকল্প দেওয়া হবে আধারের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁদের টাকা ডেবিট বা ক্রেডিট করার।


লেনদেনের আগে গ্রাহকদের আধার কার্ড ব্যবহার করে প্রত্যেক লেনদেনের আগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা রেটিনা স্ক্যান করতে হবে। বায়োমেট্রিক্সের মাধ্যমে লেনদেন হওয়ায়, এক ধাক্কায় কার্ড, পিন বা পাসওয়ার্ড— সব অতীত হয়ে যাবে।


নীতি আয়োগের সাংবাদিক সম্মেলনে এসে নগদ অর্থের বিকল্প নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) সিইও অজয়ভূষণ পাণ্ডে জানান, এখন দৈনিক ১.৩১ কোটি লেনদেন আধারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। দৈনিক ১০ কোটি লেনদেন পর্যন্ত বহন করার ক্ষমতা রয়েছে বর্তমান সিস্টেমের। তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা এই ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে দৈনিক ৪০ কোটি করা যায়।


কিন্তু, কতটা সুরক্ষিত হবে এই মাধ্যম? অজয়ভূষণ জানান, আধারের আইন এমনই যে, কেউ এটা বলতে পারবে না যে কোনও লেনদেন ক্রেডিট, না ডেবিট না অন্যকিছু। ফলে, তা একেবারে নিরাপদ।


অন্যদিকে, নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কন্থ জানান, আধার-যুক্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্য শীঘ্রই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একটি অ্যাপ বের হবে। তিনি বলেন, আর ১৫ দিনের মধ্যে ওই অ্যাপ চলে আসবে। তিনি আরও জানান, সরকার আরও চারটি নগদহীন লেনদেনের মাধ্যম নিয়ে ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে।


এগুলি হল – জিএসএম প্রযুক্তি ফোনের জন্য আনস্ট্রাকচার্ড সাপ্লিমেন্টারি সার্ভিস ডেটা (ইউএসএসডি), স্মার্টফোনের জন্য ই-ওয়ালেট এবং ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস এবং পিওএস মেশিনের জন্য ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেড কার্ড।