নয়াদিল্লি: আকছার দেখা যাচ্ছে সরকারি কর্মীরা লিভ ট্রাভেল কমপেনসেশন বা এলটিসি-র অন্যায় ফায়দা তুলছেন। তাই এ ব্যাপারে কর্মীদের হুঁশিয়ার করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা কোথাও বেড়াতে গেলে এলটিসি-তে যাতায়াতের টিকিট ভাড়া পান। তাই কেন্দ্রীয় কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ একটি গাইডলাইন জারি করেছে এ ব্যাপারে।

তাতে বলা হয়েছে, যে কর্মীরা এলটিসি নিচ্ছেন, তাঁদের ডিক্লারেশন দিয়ে জানাতে হবে, তিনি ও পরিবারের যে সদস্যরা ভ্রমণে যাচ্ছেন বলে তিনি এলটিসি-র সুবিধে নিয়েছেন, তাঁরা সকলেই ওই জায়গায় গিয়েছিলেন। তবে সব ক্ষেত্রে নয়, যদি দেখা যায়, ওই কর্মী কাছের বিমানবন্দর, রেল স্টেশন বা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সরকার অনুমোদিত পরিবহণে গিয়ে বাকিটা নিজের ব্যবস্থায় গিয়েছেন, অর্থাৎ বেসরকারি গাড়ি বা ট্যাক্সিতে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন, তবে তাঁকে ওই ডিক্লারেশন দিতে হবে।

যদি দেখা যায়, তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন তবে শৃঙ্খলাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেন্দ্র দেখেছে, নানাভাবে ঘটছে এলটিসি-র অপব্যবহার। অনেক সময় বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগসাজস করে সরকারি কর্মীরা বিমানভাড়া ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে বিল পেশ করছেন। বদলে ওই এজেন্টরা তাঁদের হোটেলে বিনা মূল্যে থাকা খাওয়া, ঘোরাফেরা বা অন্যান্য সুবিধে দিচ্ছে।

পরিস্থিতি দেখে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যদি সরকারি পরিবহণের সুযোগ থাকে তবে তাতে করেই গন্তব্যে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে। সেই যাত্রার সংক্ষিপ্ততম সরাসরি রাস্তার যাতায়াত খরচ তাঁকে দেবে সরকার। যদি সরকারি পরিবহণ না থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মী তাঁর অধিকার অনুযায়ী সর্বাধিক ১০০ কিলোমিটারের জন্য যাতায়াতের খরচ পেতে পারেন। তার বেশি হলে সেই টাকা তাঁকেই দিতে হবে।