ধুলে: নাতি সীমানার ওপারে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। আত্মীয়র মুখে  শোনা এই দুঃসংবাদ সহ্য করতে পারেননি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান চান্দু বাবুলাল চবনের বৃদ্ধা ঠাকুরমা লীলা চিন্দা পাটিল। শুক্রবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
ছেলে ও পুত্রবধূ মারা যাওয়ার পর দুই নাতিকে আঁকড়ে ধরেছিলেন লীলা। চান্দু ও তাঁর ভাইকে লালন-পালন করেন তিনি। দুই ভাই-ই এখন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রর ধুলের বোরবিহিরের বাসিন্দা  চান্দু ৩৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর জওয়ান। অন্যদিকে, তাঁর ভাই ভূষণ বাবুলাল চবন গুজরাতে নাইন্থ মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রিতে কর্মরত।তাঁদের মামা অজিত পাটিল এ কথা জানিয়েছেন।
আগামী দীপাবলিতেই বিয়ে করার কথা ২২ বছরের চান্দুর। গত বৃহস্পতিবার অসাবধানতাবশত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ওপারে চলে গিয়ে পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন চান্দু।
সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়া জওয়ানকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এখন দিল্লিতেই রয়েছেন। চান্দুর বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন। ভারত সরকারও চান্দুকে ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
ফড়নবীশ জানিয়েছেন, ওই জওয়ানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।


উল্লেখ্য, গতকালই সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়, ভুল করে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চলে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান। তাঁকেই ধরেছে পাকিস্তান। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এরসঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টি ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) হটলাইনের মাধ্যমে পাকিস্তানি আধিকারিকদের জানিয়েছেন। জওয়ান ও অসামরিক লোকজনের ভুল করে অন্যপারে চলে যাওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছুই নেই। কারণ, দুই পারেই  এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের ফেরত আনা হয়। এক্ষেত্রেও সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।