নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের আলোড়ন ফেলা সিদ্ধান্তে শোরগোল, বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন রাহুল গাঁধী। গতকাল ও আজ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ, রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদে সরব হয় কংগ্রেস। আজ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিও এনডিএ সরকারের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে ট্যুইটে লিখেছেন, একতরফা জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে টুকরো করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জেলবন্দি করে, আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় সংহতি মজবুত করা যায় না। এই দেশটাকে তৈরি করেছে তার জনগণ, জমিজিরেত নয়। সরকারি ক্ষমতার এই অপব্যবহারের ফল আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক হবে।


কাশ্মীর নিয়ে ফের ট্যুইটে কেন্দ্রের সমালোচনা করে রাহুল মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, সাজ্জাদ লোনের মতো কাশ্মীরী রাজনৈতিক নেতা, নেত্রীর গ্রেফতারির নিন্দা করে তাঁদের মুক্তি দাবি করেছেন।
রাহুলের বক্তব্য, কাশ্মীরের মূলস্রোতের রাজনৈতিক নেতাদের গোপন ডেরায় জেলে পুরে রাখা হয়েছে। এটা অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক। এটা মূর্খামি, এতে দূরদৃষ্টিরও অভাব রয়েছে। কারণ এর ফলে ভারত সরকারের তৈরি করা শূন্যস্থান ভরাট করার সুযোগ পাবে সন্ত্রাসবাদীরা। বন্দি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া উচিত।


কংগ্রেস নেতারা গতকালই কালো দিন আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন। রাহুল অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। আজ সকালে কংগ্রেস সাংসদরা রাহুল, তাঁর মা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার রদ ও রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজনের উদ্যোগের ব্যাপারে দলের মধ্যে মতভেদ, ভিন্নমতের প্রেক্ষিতে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার কথা বলেন। গতকাল কংগ্রেস নেতারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ তুললেও জনার্দন দ্বিবেদী, দীপিন্দর হুডার মতো কেউ কেউ সরকারের পদক্ষেপ সমর্থন করেন।