নয়াদিল্লি: জিএসটি থাকবে, তবে বদলাতে পারে করের ধাপ। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির হাত ধরে ভারতে যে পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হয়েছিল, সেই কর ব্যবস্থায় খানিক পরিবর্তন হতে পারে বলেই ইঙ্গিত। ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স’-এ পণ্য ও পরিষেবা অনুযায়ী ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ- এই চার স্তরে কর দিতে হয়। চলতি অর্থবর্ষেই এই চার স্তরের কর ব্যবস্থায় বদল করে দ্বিস্তরীয় কর চালু করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন মোদি সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।  রাজস্ব বৃদ্ধির জন্যই সরকার এই পথে হাঁটতে পারে বলে মত তাঁর।


২০১৭ সালের ১ জুলাই ভারতে জিএসটি চালু করেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। জিএসটি-র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ফেসবুকে বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা লেখেন, “একমাত্র বিলাসবহুল পণ্য ছাড়া ২৮ শতাংশ জিএসটি প্রায় কোথাও নেই। ৫ শতাংশ জিএসটি সবসময়ই থাকবে। যেহেতু রাজস্ব বাড়ছে, সেক্ষেত্রে নীতি নির্ধারকরা ১২ এবং ১৮ শতাংশের ধাপকে একত্রিত করে একটি ধাপের কথা ভাবতে পারেন। জিএসটি-তে দ্বিস্তরীয় কর সদূরপ্রসারী ফল দেবে।” তিনি আরও লেখেন, “দু বছর পর দেখা যাচ্ছে, দেশের ২০টি রাজ্যে আগামী পাঁচ বছরে নিশ্চিতভাবে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব বৃদ্ধি ঘটবে। প্রতিটি রাজ্যকেই তাদের প্রাপ্য শতাংশ মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ভর্তুকিও দেওয়া হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “জিএসটি পূর্ববর্তী সময়ে দেশের ধনী ও গরিবকে অনেক পণ্যের জন্যই একই কর দিতে হত। বিভিন্ন ধরনের করের ধাপ তৈরি করায় কেবল মুদ্রাস্ফীতিকে রোধ করা গিয়েছে তা-ই নয়, একই সঙ্গে আম আদমিকেও অতিরিক্ত কর দেওয়া থেকে মুক্ত করা গিয়েছে। আমাদের বুঝতে হবে, একটি হাওয়াই চপ্পল আর একটি মার্সিডিজ গাড়ির কর কখনই এক হতে পারে না। যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।”



প্রসঙ্গত, মোদি মন্ত্রিসভায় প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অরুণ জেটলি। পরবর্তীতে তাঁর অসুস্থতার কারণে এই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন পীযূষ গোয়েল। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর অরুণ জেটলি যখন নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে তাঁকে মন্ত্রিসভায় সামিল না করার কথা জানান তখন মোদি-শাহরা নির্মলা সীতারমনকে সেই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ইন্দিরা গাঁধীর পর দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে ভারতীয় অর্থমন্ত্রকের ব্যাটন এখন নির্মলা সীতারমনের হাতেই। চলতি মাসেই প্রথম বাজেটও পেশ করবেন তিনি। তাঁর আগে জিএসটি নিয়ে পূর্বসূরীর এই মতকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে ওয়াকিবহল মহল।