গুয়াহাটি: আমজনতার ব্যবহৃত একাধিক পণ্যের ওপর জিএসটি হার ২৮ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ ঘোষণা করল জিএসটি কাউন্সিল। এর মধ্যে চ্যুইং গাম থেকে ডিটারজেন্টের মতো বহু সর্বসাধারণের কাজে লাগা পণ্য রয়েছে। বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী এই ঘোষণা করে জানিয়েছেন, মোট ১৭৭টি পণ্যের ওপর জিএসটি কমে গেল।
পাশাপাশি জিএসটি-র কর কাঠামোয় সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ কর ধার্য্য হয় যেসব পণ্যে, সেই তালিকায় রয়েছে ২২৭টি পণ্য। জিএসটি কাউন্সিল সেই তালিকা থেকে বহু পণ্য ছেঁটে এখন মাত্র ৫০ টিকে রাখল।
১ জুলাই থেকে চালু হওয়া জিএসটিতে ৫ টি কর কাঠামো রয়েছে। ০, ৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ।
বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলি থেকে প্রবল আপত্তি তুলে বলা হয়েছিল, বিলাসবহুল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্যের ওপরই ২৮ শতাংশ কর বসার কথা। সেই তালিকায় কেন আমজনতার প্রয়োজনীয় পণ্যকে রাখা হবে? বিরোধিতার মুখে শেষ পর্যন্ত সেই তালিকা ছেঁটে দেওয়া হল। মোদী বলেন, ২৮ শতাংশ স্ল্যাবে ২২৭টি পণ্য রয়েছে। ফিটমেন্ট কমিটি সংখ্যাটা কমিয়ে এনে ৬২টি পণ্য রাখার সুপারিশ করে। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিল তারপরও আরও ১২টি পণ্য ওই স্ল্যাব থেকে বাদ দিয়েছে।
সব ধরনের চ্যুইং গাম, চকলেট, মুখের মেক আপের প্রসাধনী দ্রব্য, শেভিং ও আফটার শেভিং পণ্য, শ্যাম্পু, ডিওড্র্যান্ট, ওয়াশিং পাউডার ডিটারজেন্ট, গ্রানাইট ও মার্বেলের ওপর ১৮ শতাংশ কর বসবে বলে জানান মোদী। বলেন, এ ব্যাপারে সবাই একমত যে, ২৮ শতাংশের স্ল্যাবে শুধুমাত্র বিলাসবহুল দ্রব্যই রাখা উচিত। সেই অর্থে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল জিএসটি কাউন্সিল। ২৮ শতাংশ স্ল্যাবে থাকবে মাত্র ৫০টি পণ্য, বাকিগুলিকে ১৮ শতাংশের স্ল্যাবে নামিয়ে আনা হল।
রং অর্থাত্ পেইন্টস, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কন্ডিশনারের মতো বিলাসবহুল সামগ্রী ২৮ শতাংশ কর তালিকায়ই থাকবে বলে জানান তিনি।


এছাড়াও রেস্তোরাঁয় কমল খাওয়ার খরচ। এসি ও নন এসি রেস্তোরাঁয় ক্ষেত্রে জিএসটি কমে পাঁচ শতাংশ। পাঁচ তারা হোটেল-রেস্তোরাঁয় ক্ষেত্রে কার্যকর নয় নয়া নিয়ম।
জিএসটি কাউন্সিলের আজকের সিদ্ধান্তে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্বের ওপর প্রভাব পড়বে বলে জানা গিয়েছে।
মোদী বলেন, ধীরে ধীরে ২৮ শতাংশ স্ল্যাবটি ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। তবে যেহেতু রাজস্বের ওপর এর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে বাধ্য, তাই এটা করতে সময় লাগবে।