রাজধানীতে পিএইচডি চেম্বারে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সভায় রাহুল তাঁর ভাষণে বলেন, সরকারের ওপর মানুষের আস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর সরকার নিশ্চিত, প্রতিটি লোক চোর। আস্থা তৈরি হয় তখনই যখন কেউ অন্যের কথা শোনে। কিন্তু আজ এই সরকারে এমন একজনও কেউ নেই যে দেশবাসীর কষ্টের কথা শুনতে চায়। আর্থিক মন্দা, বেকারিকে 'মোদীর তৈরি বিপর্যয়' আখ্যা দিয়ে তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, কিন্তু কেন্দ্র ভান করছে, 'সব ঠিক আছে', বাস্তবকে এড়িয়ে যাচ্ছে।
রাহুল এও বলেন, ভারতে অসাম্য গত ১০০ বছরে সবচেয়ে বেশি এখন। সব এমএমডি অর্থাত মোদী মেড ডিজাস্টার। ব্যবসা ডুবছে। কিন্তু শ্রী জেটলির সাহস আছে, তিনি রোজ টিভি চ্যানেলে দাবি করছেন, সবই ঠিকঠাক চলছে!
মোদীর নোট বাতিলের পদক্ষেপকে তুলোধনা করে রাহুলের দাবি, মানুষের বুকে সন্ত্রাস, ভীতি ছড়িয়েছে এই সিদ্ধান্ত। লক্ষ লক্ষ মানু্ষকে ব্যাঙ্কের বাইরে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। এক এটিএম থেকে আরেক এটিএমে ছুটতে হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
রাহুলের মন্তব্য, সব নগদই কালো নয়, সব কালোই নগদ নয়। এই মৌলিক ধারণাকে না বুঝে সরকার ভারতের মানুষের ওপর সন্ত্রাস নামিয়েছে। আর সেটা করতে গেলে এমন কাউকে চাই, যাঁর বুকটা খুব বড়, কিন্তু হৃদয়টা খুবই ছোট।
জিএসটিকেও রাহুল 'কর সন্ত্রাসবাদের সুনামি' বলে উল্লেখ করে তার তীব্র বিরোধিতা করেন। কংগ্রেস সহ সভাপতির ব্যাখ্যা, বিমুদ্রাকরণের ক্ষতিকর ফল আর জিএসটি মিলে দেশের অর্থনীতিকে পতনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা থেকে এখনও ঘুরে দাঁড়ানো যায়নি।
তিনি বলেন, মোদী খুব দ্রুত দুটি গোলা (বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি) ছুঁড়লেন যাতে টার্গেট নিচে নেমে যায়, মার খায় অর্থনীতি।