আমদাবাদ: পটেল আন্দোলনের চাপে শেষপর্যন্ত নতিস্বীকার করল গুজরাত সরকার। আজ উচ্চবর্ণের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করল আনন্দীবেন পটেল সরকার। যাদের বছরে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিবারিক আয়, তাঁরাই এই সংরক্ষণের আওতায় থাকবেন।

আজ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে এই সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিজয় রূপানী ও মন্ত্রী নীতীন পটেল এই ঘোষণা করেন। রূপানী জানান, ১ মে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

তবে হার্দিক পটেলের নেতৃত্বাধীন পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি এই ঘোষণায় আদৌ সন্তুষ্ট নয়। তাদের দাবি, সরকার পটেলদের বিভ্রান্ত করার জন্য এই ‘ললিপপ’ দিতে চাইছে।

হার্দিকের দলের মুখপত্র ব্রিজেশ পটেল বলেছেন, হরিয়ানায় যেভাবে জাঠদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই পটেলদের ওবিসি কোটায় জায়গা দেওয়া অথবা পৃথক সংক্ষণের ব্যবস্থা করাই তাঁদের আসল দাবি। কিন্তু সরকার সেই দাবি মানেনি। তাঁরা মূল দাবি থেকে সরে আসছেন না। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হবে। বিজেপি এই রাজনীতির ফল ভুগবে।

যদিও পটেলদের অন্য একটি সংগঠন সর্দার পটেল গ্রুপ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। মুখপত্র পুরভীন পটেল বলেছেন, তাঁরা ওবিসি কোটায় সংরক্ষণের বদলে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠীর সংরক্ষণ চাইছিলেন। তাই সরকারের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ চালু করা যাবে না। কিন্তু আজকের এই ঘোষণার ফলে গুজরাতে সংরক্ষণের পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হয়ে যাচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়তে পারে সরকার। রূপানী অবশ্য বলছেন, তাঁরা আইনি লড়াইয়ের জন্য তৈরি।