আহমেদাবাদ: গুজরাতে দলিতদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলনকারী ভানুভাই ভঙ্কর পাটনের কালেক্টর অফিসের সামনে গত বৃহস্পতিবার অগ্নিদগ্ধ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল আহমেদাবাদের হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। পাটন জেলার দুদখা গ্রামের এক দলিত পরিবারকে জমির মালিকানা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে ভানুভাই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ১৯৫৫ থেকেই ওই গ্রামে দলিত পরিবারটি সরকারি জমিতে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করত। ১৯৯৫ সালে সরকার ওই জমি খালি করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই পরিবার ওই জমিতেই তাঁদের থাকতে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানায়। সরকার ২২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে চায়। ওই দলিত পরিবারের দাবি, সেই টাকা দেওয়ার পরও সরকার তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জমির মালিকানা দেয়নি।
ওই দলিত পরিবারগুলিকে তাদের অধিকার দেওয়ার জন্য ভানুভাই সরকারকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে জমির মালিকানা না পাওয়া গেলে আত্মহুতির হুঁশিয়ারিও তিনি দিয়েছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই দলিত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাটনের কালেক্টর অফিসে পৌঁছন এবং প্রকাশ্যে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ভানুভাই উঞ্ঝার বাসিন্দা। তিনি নিজেও দলিত। দলিতদের জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেছিলেন। তাঁর ছেলে অস্ট্রেলিয়া ও মেয়ে আমেরিকায় থাকেন।
তাঁর আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোরের পারদও। কংগ্রেস বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোর এই ঘটনার জন্য রাজ্যের বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন। ভানুভাইয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিত সংগঠনগুলি গুজরাতের বিভিন্ন স্থানে বনধের ডাক দিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন দলিত নেতা তথা বিধায়ক জিগনেশ মেভানিও।
ভঙ্করের আত্মহত্যার চেষ্টার পরই মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।