নয়াদিল্লি: গুজরাত বিধানসভা ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষা ২০১৭। গৃুজরাত বিধানসভা ভোটে বুথফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে ছুটছে বিজেপির বিজয়রথ। বৃহস্পতিবার গুজরাতে দ্বিতীয় ও সর্বশেষ ভোটগ্রহণ পর্ব মিটে যেতেই এবিপি আনন্দ-সিএসডিএস-এর চালানো বুথ ফেরত সমীক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর দল জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের মোট ১৮২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ১১৭টি আসন। কংগ্রেসের পাওয়ার সম্ভাবনা তাদের চেয়ে অর্ধেক কম আসনের কিছু বেশি, ৬৪টি। অন্যান্যরা পাবে ১টি আসন। অর্থাত রাহুল গাঁধী প্রচারে ঝড় তুললেও ভোটবাক্সে তার প্পতিফলন না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।


সমীক্ষা অনুসারে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ, দক্ষিণ গুজরাতের মোট ৮৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ৫৮টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩০টি আসন। অন্যান্যদের প্রাপ্তি একটি আসন।

সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এলাকায় মোট ৫৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস পেতে চলেছে যথাক্রমে ৩৪টি ও ১৯টি আসন। অন্যান্যরা পাবে ১টি আসন। ওই অঞ্চলে বিজেপি পেতে পারে ৪৯ শতাংশ ভোট, কংগ্রেস ৪১ শতাংশ ভোট, বাকিদের ১০ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা।

এক্সিট পোল অনুসারে দক্ষিণ গুজরাতের ৩৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৪টি আসন। সিংহভাগ আসনই দখল করতে পারে তারা। ১১টি পেতে পারে কংগ্রেস। সেখানে শতাংশের বিচারে কংগ্রেস, বিজেপি ও অন্যান্যরা পেতে পারে যথাক্রমে ৫২, ৪০ ও ৮ শতাংশ ভোট।

উত্তর গুজরাতের ৫৩ আসনের বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও কংগ্রেসের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। বিজেপি ৪৯ শতাংশ,কংগ্রেস ৪২ শতাংশ , অন্যান্যরা ৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৩৫ আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১৮ টি আসন। অন্যান্যদের খালি হাতেই ফিরতে হতে পারে।

(গুজরাত বিধানসভা ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষা ২০১৭ লাইভ আপডেট)

মধ্য গুজরাতে ৪০ আসনের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুসারে বিজেপি ৪৭ শতাংশ কংগ্রেস ৪২ শতাংশ , অন্যান্য ১৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
সমীক্ষা অনুসারে বিজেপি ২৪, কংগ্রেস ১৬ টি আসন পেতে পারে।

গুজরাতের বিধানসভা ভোট জাতীয় রাজনীতির আগামীদিনের গতিপ্রকৃতি স্থির করে দেবে, বলছেন রাজনীতির কারবারীরা। ২২ বছরের লাগাতার বিজেপি শাসনের অবসান হবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে নোট বাতিল ও চলতি বছরে জিএসটি চালু করেছেন। বিশেষ করে জিএসটি নিয়ে জনমনে কী ভাবনা রয়েছে, গুজরাতের ভোটে তার প্রতিফলন মিলবে। কংগ্রেসের সামনে গুজরাত ভোটের গুরুত্ব এখানেই যে, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই হবে। মোদীর জনমোহিনী আকর্ষণ কতটা অটুট, তাও বোঝা যাবে এবার।