আমদাবাদে এক পড়ুয়া পরীক্ষার খাতায় নিজেই নিজেকে ১০০-য় একশ দিয়েছে! হর্ষদ সারভাইয়া নামে গুজরাত সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডের ১২ ক্লাসের ওই পড়ুয়া পরীক্ষায় অর্থনীতি ও ভূগোল খাতায় উত্তর লেখার পর নিজেই লাল কালি দিয়ে চেক করে। এমনভাবে নম্বর বসায় যাতে যোগ করলে ১০০-ই হয়। তবে ভূগোল খাতা দেখার সময় তার ‘দুঃসাহসী’ কীর্তি ধরে ফেলেন পরীক্ষকরা। তাকে ৩৪ নম্বর দেন তাঁরা। কিন্তু অর্থনীতির খাতাটি নজর এড়িয়ে যায় পরীক্ষকদের। জানা গিয়েছে, হর্ষদ পরীক্ষকদের ফাঁকি দেওয়ার জন্য উত্তরপত্রের সামনের পৃষ্ঠায় কোনও নম্বর লেখেনি। জায়গাটা ফাঁকা রেখে ভিতরে উত্তরের পাশে মার্কস বসিয়ে দেয়। তার প্ল্যান ছিল, পরীক্ষক ভাববেন, তাঁরই কোনও সতীর্থ খাতা দেখে নম্বর বসিয়ে রেখেছেন। তাঁকে শুধু মোট নম্বরটা যোগ করে বসাতে হবে। এবং ঘটেছেও তা-ই। গুজরাত বোর্ডের নিয়ম অনুসারে সাতজন পরীক্ষক খাতা দেখেন। তাঁদের কেউই দেখেননি যে, পরীক্ষার্থীই নিজেকে পুরো নম্বর দিয়ে বসে আছে! তাঁরাও তাকে ফুল মার্কস দেন।
কিন্তু অর্থনীতি, ভূগোল বাদে বাকি বিষয়গুলিতে হর্ষদের প্রাপ্ত নম্বর দেখেই টনক নড়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষের। সে গুজরাতিতে ১৩, ইংরেজিতে ১২, সংস্কৃতে ৪, সোসিওলজিতে ২০, সাইকোলজিতে ৫ পেয়েছে। বোর্ডের নিয়মমতো তার অর্থনীতির উত্তরপত্রটি একটি বিশেষ সফটওয়্যারে পরীক্ষা করা হয়। তখনই তার কীর্তি ফাঁস হয়।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর হর্ষদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে বোর্ড। তাকে তলব করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা দেওয়া হবে তাকে। তবে যে পরীক্ষকরা তাকে পুরো নম্বর দিয়েছেন, তাদেরও ডেকে পাঠিয়েছে বোর্ড। তাদের চোখ কপালে উঠেছে।
উত্তরপত্রে পিন দিয়ে টাকা গুঁজে পরীক্ষককে প্রলুব্ধ করা বা পাশ করিয়ে দেওয়ার কাতর আর্জি জানিয়ে তাঁর মন গলানোর চেষ্টার কথা আমরা জানি। কিন্তু এভাবে পরীক্ষকদের ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব।
Gujarat Boy, Check, Exam Paper, examiner, 100,